২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৩:৩৭:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


যৌন হয়রানি প্রতিরোধের দায়িত্ব পরিবারের
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-১২-২০২২
যৌন হয়রানি প্রতিরোধের   দায়িত্ব পরিবারের


যৌন হয়রানি প্রতিরোধ করতে হলে পরিবারকে দায়িত্ব নিতে হবে। এর পাশাপাশি প্রস্তাবিত ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২২’ (খসড়া)  চূড়ান্তকরার আগে বিভিন্ন অংশীজনদের কাছ থেকে আরও মতামত গ্রহণ করতে হবে।

এসব বক্তব্য উঠে জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে এক আলোচনা সভায়। মঙ্গলবার ২০২২ পার্লামেন্টারিয়ান ককাস অন চাইল্ড রাইটস এবং জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম-এর উদ্যোগে প্রস্তাবিত ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২২’ (খসড়া) শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকু এমপি, ডেপুটি ¯িপকার এবং সভাপতি- পার্লামেন্টারিয়ান ককাস অন চাইল্ড রাইটস বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আদিবা আঞ্জুম মিতা এমপি, মাননীয় সংসদ সদস্য, মহিলা আসন-৩৭, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ;  বাসন্তী চাকমা এমপি, মাননীয় সংসদ সদস্য, মহিলা আসন-৯, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ; বিচারপতি তানজিনা ইসমাইল, মেম্বার (সিনিয়র জেলা জজ) লেবার আপিলেট ট্রাইব্যুনাল ও প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ মহিলা জজ এসোসিয়েশন ; মো. মুহিবুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব, শিশু ও সমন্বয় উইং, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়; শেখ আশফাকুর রহমান, পরিচালক (প্রশিক্ষণ), (জেলা জজ), বিচার, প্রশাসন, প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট; মোসা. ফরিদা ইয়াসমিন, এডিশনাল ডিআইজি (উত্তর), হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার প্রমুখ। আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সহসভাপতি শাহিন আক্তার ডলি। পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপন করেন  নাছিমা আক্তার জলি, স¤পাদক, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম ও পরিচালক, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট।  এছাড়াও জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  

  মো. শামসুল হক টুকু এমপি বলেন, যৌন হয়রানির ঘটনা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধির নিয়ে আরও আলাপ আলোচনা করে আইনের খসড়াটি আরও সমৃদ্ধ করতে হবে। যৌন হয়রানির প্রতিরোধ ও প্রতিকারের ক্ষেত্রে আমাদের নানা দুর্বলতা রয়েছে বিধায় এই আইনটির প্রয়োজন আছে। আইন প্রণয়নে সব কিছুর সমাধান না হলেও আইনটি অপরাধীদের জন্য আতঙ্ক তৈরি করবে। আইনটি ক্ষমতাশালীদের বিরুদ্ধে ভিকটিমদের জন্য একটা সুরক্ষা তৈরি করবে। খসড়ায় উল্লেখ করা অভিযোগ কমিটির স্থলে অভিযোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি যুক্ত করা দরকার বলে আমি মনে করি। 


নাছিমা আক্তার জলি বলেন, ‘জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম’ কন্যাশিশু তথা নারীর অবস্থা ও অবস্থাানের ইতিবাচক পরিবর্তনে কর্মরত সমমনা সরকারি-বেসরকারি ১৯৮টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গের কাজের সমন্বয় এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি শক্তিশালী প্লাাটফর্ম।  কন্যাশিশুর প্রতি ইতিবাচক মনোভাব ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণসচেতনতা সৃষ্টি ও নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে অ্যাডভোকেসির জন্য ফোরাম-এর সকল সংগঠনের সহায়তায় তৃনমূল থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে যা”েছ। বাংলাদেশে নারী ও শিশুর জন্য নিরাপদ কর্মস্থল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পাবলিক প্লেসে সামগ্রিক (হাট-বাজার, রাস্তা, খেলার মাঠ, মার্কেট ও পরিবহণ) নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান আইন ও নীতিমালাসমূহের আলোকে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ইতিমধ্যে একটি প্রস্তাািবিত পূর্ণাঙ্গ আইন (খসড়া) প্রণয়ন করা হয়েছে। আইনটির পর্যালোচনা করা আজকের সভার উদ্দেশ্য।  


আদিবা আঞ্জুম মিতা এমপি বলেন, আইনটিতে সবার দিক বিবেচনা করতে হবে, যাতে কেউ আবার অপব্যবহারের সুযোগ না পায়। 

বাসন্তী চাকমা এমপি বলেন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধ করতে হলে পরিবারকে দায়িত্ব নিতে হবে। আইনটি চূড়ান্তকরার আগে বিভিন্ন অংশীজনদের কাছ থেকে আরও মতামত গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে সমতল ও পাহাড়ের আদিবাসীদের মতামত নেওয়া দরকার। 

মো. মুহিবুজ্জামান বলেন, আইনের খসড়ায় উল্লিখিত যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে শব্দগুলি পরিবর্তন করে যৌন হয়রানি উল্লেখ করা উচিত। কারণ যৌন কামনা চরিতার্থ করার বিষয়টি মামলাকে দুর্বল করবে। আর খসড়ায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির বিষয়ে বলা হয়েছে কিš‘ পথে-ঘাটে হয়রানির শিকার হলে কী হবে সেটিও যুক্ত করা দরকার। 

শেখ আশফাকুর রহমান বলেন, খসড়ায় বিদ্যমান আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য ও অসামঞ্জস্য বিষোয়গুলো বের করে সমন্বয় করতে হবে। 

ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, খসড়াটি করা হয়েছে ২০১৯ সালে। ইতিমধ্যে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে খসড়ায় নতুন করে অনেক কিছু অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।  


শেয়ার করুন