২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৬:৪৬:৩২ পূর্বাহ্ন


বাংলাদেশ সোসাইটির পিছু ছাড়ছে না মামলা
দেশ রিপোর্ট:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০২-২০২৩
বাংলাদেশ সোসাইটির পিছু ছাড়ছে না মামলা


প্রবাসের মাদার সংগঠন হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটি। এই সংগঠনের এবারের নির্বাচন ছিল বহুল আলোচিত। বিশেষ করে মামলার জন্য। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্বাচনের ঠিক দুই দিন আগে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার কারণেই বাংলাদেশ সোসাইটির আলোচিত নির্বাচনটি থেমে যায়। তার পর মহামারি করোনার হানা। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন কমিশন আবারো নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। সেই নির্বাচনের দুই দিন আগেও মামলা করা হয়। মামলার কারণে আবারো নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেমে যায়। এই সময় মামলা করেন নীরা এস নীরা এবং বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক ওসমান চৌধুরী। তৃতীয়বার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও আবারো নির্বাচন থেমে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেই সময় বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম আজিজ, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী এবং কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তার প্রতিরোধে তারা ব্যর্থ হয়। যে কারণে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয় প্রায় বছর পর। ২০১৮ সালে মামলা না হলে এর মধ্যে বাংলাদেশ সোসাইটির আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতো। সে যাই হোক নির্বাচন সম্পন্ন হলো। আব্দুর রব মিয়া এবং রুহুল আমিন সিদ্দিকীর নেতৃাত্বাধীন প্যানেল জয়লাভ করে। এই জয়লাভ ছিল ব্যতিক্রম। কারণ পর্যন্ত বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচনে যারাই বেশি ভোটার বানিয়েছেন তারাই জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম হয়েছে। কারণ প্রায় ডাবল ভোটার বানিয়েও নয়ন-আলী প্যানেল জয়লাভ করতে পারেননি। নবনির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। কিন্তু তাদের ওপর এখনো মামলার খড়ক রয়েছে। মামলা যেন বাংলাদেশ সোসাইটির পিছু ছাড়ছে না। জানা গেছে, এখনো বাংলাদেশ সোসাইটির বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে। দুটো মামলা নীরা এস নারীর এবং অন্যটি ওসমান চৌধুরী। জানা গেছে, গত সপ্তাহে ওসমান চৌধুরী তার মামলাটি আবারো পুনরুজ্জীবিত করেছেন। তিনি এখন ট্রায়ালের চেষ্টা করছেন।

ব্যাপারে বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী দেশ পত্রিকাকে জানান, আমরা ব্যাপারে সজাগ রয়েছি। আমরা আমাদের আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।

অন্যদিকে কমিউনিটি থেকে দাবি উঠেছে সাধারণ সভায় যেন মামলাবাজদের বহিষ্কার করা হয়। তারা বলেন, আশা করি বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সভায় কার্যকরি কমিটির সদস্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

শেয়ার করুন