২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৬:১৭:৪৮ পূর্বাহ্ন


শিক্ষার্থীদের ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলার ঋণ মওকুফ করলেন বাইডেন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৭-২০২৩
শিক্ষার্থীদের ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলার ঋণ মওকুফ করলেন বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন


যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শিক্ষার্থীদের ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলার ঋণ মওকুফ করা ঘোষণা দিয়েছেন। গত ১৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, দেশটির ইনকাম ড্রাইভেন রিপেমেন্ট-আইডিআর (আয়ভিত্তিক ঋণ পরিশোধ) প্রকল্পের আওতায় প্রেসিডেন্ট এ ঋণ মাফ করে দিয়েছেন। এ ঋণ মওকুফ প্রকল্পের আওতায় ৮ লাখ ৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর ঋণ মাফ করে দেওয়া হয়েছে।

তবে আইডিআরের অর্থ হলো, শিক্ষার্থী বা তার পরিবারের নামে যে শিক্ষা ঋণ রয়েছে, তা তাদের বর্তমান মাসিক আয়ের সাপেক্ষে প্রতি মাসে কিছু কিছু করে পরিশোধ করতে হবে। 

শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, ঋণগ্রহীতারা গত ২০ বা ২৫ বছর মেয়াদি কোনো ঋণ নিয়ে থাকেন এবং সেই ঋণ কিছু পরিমাণে পরিশোধও করেন, তবে তারা ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য হবেন। সাধারণত আইডিআর প্রকল্প যুক্তরাষ্ট্রের নিম্ন আয়ের ঋণগ্রহীতাদের জন্য ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে কিস্তির পরিমাণ কমিয়ে দেয় এবং নির্দিষ্ট কয়েক বছর পর তাদের অবশিষ্ট ঋণ ক্ষমা করে দেয়।

বিবৃতিতে জো বাইডেন বলেছেন, ‘যাঁরা গত দুই বছরের বিভিন্ন সময়ে ঋণ মওকুফ পেয়েছেন, এই ঋণগ্রহীতারা সেই লোকেদের তালিকায় যুক্ত হবেন। ফলে সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ লাখ লোকের ১১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার মাফ করে দেওয়া হলো।’

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্ট তার প্রশাসনের প্রস্তাবিত কয়েকশ বিলিয়ন ডলার ঋণ বাতিল করার পরিকল্পনাকে বাতিল করলেও তিনি মার্কিন শিক্ষার্থীদের ঋণের মওকুফের জন্য নতুন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

আমেরিকার শিক্ষা বিভাগ এরই মধ্যে বাইডেন প্রস্তাবিত ৪৩০ বিলিয়ন ডলার ঋণ মওকুফের বিষয়টি নিয়ে নতুন করে পরিকল্পনা শুরু করেছে। তবে পুরো প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে বেশ কয়েক মাস লেগে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার ২০২২ সালে আইডিআর পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়েছিল। একজন শিক্ষার্থীকে ঋণের ২০ হাজার ডলার পর্যন্ত মওকুফ করার পরিকল্পনা ছিল প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট গত মাসে এ সিদ্ধান্ত আটকে দেয়। আদালতের রায় ঘোষণার পরই বাইডেন শিক্ষার্থীদের ঋণ মওকুফ করার ভিন্ন উপায় খুঁজে বের করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি সে সময় বলেছিলেন, ‘আজকের সিদ্ধান্ত একটি পথ বন্ধ করে দিয়েছে। এখন আমরা আরেক পথে যাবো।’

শেয়ার করুন