২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৭:১৮:৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


দেশকে মুজিবুল হক চুন্নু
মানুষ একটা শঙ্কা ও ভয়ের মধ্যে আছে
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৭-২০২৩
মানুষ একটা শঙ্কা ও ভয়ের মধ্যে আছে মুজিবুল হক চুন্নু


জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, দেশে এখন যে রাজনৈতিক অবস্থা বিরাজ করছে, তা বলা যায় একটা অনিশ্চিত অবস্থা। মানুষ একটা শঙ্কা ও ভয়ের মধ্যে আছে। আমেরিকা থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি একথা বলেন। 

দেশ: জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দেশের পরিস্থিতি কিভাবে দেখেন?

মুজিবুল হক চুন্নু : দেখেন, দেশে এখন যে রাজনৈতিক অবস্থা বিরাজ করছে, তা বলা যায় একটা অনিশ্চিত অবস্থা। মানুষ একটা শঙ্কা ও ভয়ের মধ্যে আছে। দুইটি বড় দলের মধ্যে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে তাদের উভয়ের এখন একদফা। একদলের দাবি হলো বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই তারা নির্বাচন করবে। এর বাইরে তারা কোনো কিছুই শুনতে রাজি না। অন্যদলটি বিএনপি এবং সাথে যারা আছে, তাদের দাবি হলো- এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এবং নিদর্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়াই লাগবে। এটাই তাদের একদফা। রাজনীতিতে এখন এই দুইদল যদি একদফাকেই চূড়ান্ত মনে করে তাহলেতো হবে না। রাজনীতি মানেই হলো আলোচনার বিষয়। ছাড় দেয়ার বিষয়। আমরা মনে করি দুটি দলের এমন একগুঁয়েমির কারণে দেশে একটি সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। এধরনের পরিস্থিতির কারণে মানুষতো ভয়ের মধ্যেই আছে। এমনিতেই মানুষ নাস্তানাবুদ। যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। মানুষের চাকুরি চলে গেছে। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি প্রত্যাশিত না। এসব বিষয়গুলি নিয়ে মানুষ নাজেহাল। মানুষের এখন রাজনীতিবিদদের প্রতি আস্থা নেই। বিএনপি আওয়ামী লীগই না। সব দলের প্রতিই আস্থা নেই। জনগণ একটা পথ খুঁজছে কিভাবে একটা শান্তিপূর্ণ উপায়ে এধরনের পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। 

এটা খুবই দু:খজনক। খুবই খারাপ লাগে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের মতো দল তারা তিনজোট করে ৯০ সালে। এরশাদ সাহেবকে বলেছিলেন পদত্যাগ করতে। সেসময় তারা বলেছিলো গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে তারা সুযোগ করে দেবে ভবিষ্যতে যেনো এগুলি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। বলেছিলো দেশে সুশাসন দেবে। মানুষ যেনো তার ভোট ঠিকভাবে দিতে পারে সেজন্য সুশাসন দেবে। সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে। উন্নয়ন করবে। টাকা প্রাচার রোধ করবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এই দুইটি দলই এসব ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। 

দেশ: বর্তমানে আপনারা ক্ষমতাসীনদের সাথেই আছে। সেক্ষেত্রে আপনাদের কি কোনো দায়বদ্ধতা নেই? আপনারাওতো কম দায়ী না?

মুজিবুল হক চুন্ন : এখানে একটু কারেকশান (সংশোধন করে দেই) করে দেই আমরা কিন্তু সরকারের সাথে নেই। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে আমরা বিরোধী দল। আমরা এই সরকারের সাথে নেই। আপনাদের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে একটা পারসেপশান (ধারণা) হয়ে গেছে যে যেহেতু আওয়ামী লীগের সাথে আমরা কয়েকবার জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করেছিলাম তা-ই বোধ মনে করছেন আমরা সরকারের সাথেই আছি। আপনার কি মনে হয় কিংবা একটু আগে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে যা বললাম তাতে কি মনে হয় আমরা সরকারে আছি?

দেশ: না আপনারা ব্যালান্স করে কথা বলেন।

মুজিবুল হক চুন্ন: না আমরা সত্য কথা বলি। আওয়ামী লীগ দুর্নীতি করেছে এবং করেও যাচ্ছে।  সেক্ষেত্রে বিএনপি কি দুর্নীতিতে চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়নি? এটা কি আমরা বলব না? আমি তো বিএনপি’র রাজনীতি করি না। আমরা আমাদের রাজনীতি করি। আমার এটা দায়িত্ব। আমরা সরকার পদত্যাগ করার পরে একুশ বছর যারা শাসন করেছে তারা কি কি কর্মকাণ্ড করেছে, সেটা বলেন?

শেয়ার করুন