২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ৬:০৭:২১ অপরাহ্ন


জ্যামাইকা ফ্রেন্ডস সোসাইটির ইফতারে গ্রেস মেং
আগামী নির্বাচনগুলোতে আমরা আরো সাহানা হানিফদের দেখতে পাবো
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০৪-২০২২
আগামী নির্বাচনগুলোতে আমরা আরো সাহানা হানিফদের দেখতে পাবো জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির ইফতারে শিশুদের মধ্যে গিফট বিতরণ


নিউইয়র্কে বাংলাদেশি অধ্যুষিত অন্যতম এলাকা জ্যামাইকা। এই জ্যামাইকা নিয়ে এক সময় প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভীতের মধ্যে থাকলেও এখন জ্যামাইকা বাংলাদেশিদের প্রীতির জায়গায় পরিণত হয়েছে। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে। ভুমিকা পালন করেছে জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটিসহ অন্যান্য সংগঠন। সেই জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির উগ্যোগে প্রতি বছরের মত এবারো ইফতার আয়োজন করা হয়। জ্যামাইকা ফ্রেন্ডস সোসাইটির ইফতার আয়োজনটি ছিলো সম্পূর্ণ ভিন্ন। পরিবেশ ছিলো অন্য রকম। অন্য রকম পরিবেশ হবেই বা কেন- আয়োজন ছিলো পার্কে। এর আগে জ্যামাইকা ফ্রেন্ডস সোসাইটি বৈশাখীর অনুষ্ঠান করেছিলো পার্কে। এবার পার্কে ইফতারের আয়োজন করে আরেকটি নজির স্থাপন করলো। পার্কে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। ছিলো পার্কের চেয়ার, যোগ করা হয় নিজেদের চেয়ার। তবে পার্কে হবার কারণে মানুষের উপস্থিতি ছিলো ব্যাপক। আর এই পার্ক হলো ক্যাপ্টেন টিলি পার্ক। ইফতার আয়োজনটি ছিলো গত ২২ এপ্রিল।

জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আল আমিন রাসেল ও ইফতারের কো কনভেনর এ এফ মিসবাউজ্জামানের পরিচালনায় ইফতারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশিদের বন্ধু হিসেবে পরিচিত কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলাম, স্থানীয় কাউন্সিলম্যান জিম জিনারো, ইফতার মাহফিলের আহ্বায়ক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গোল্ডন এজ হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট শাহ নেওয়াজ, জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মূলধারার রাজনীতিবিদ ফাহাদ সোলায়মান, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ওসমান গনি, জ্যামাইকা বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বিলাল চৌধুরী, সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যাপিকা হুসনে আরা, ছদরুন নূর, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, প্রবীণ জ্যামাইকার নাসির আলী খান পল, সংগঠনের উপদেষ্টা ফরিদ আলম, সাবেক কর্মকর্তা ইফজাল চৌধুরী, মিলিন্ড ক্যাটর্জের প্রতিনিধি মোহাম্মদ সাদেক, জে মোল্লা সানি, বাংলাদেশ সোসাইটির প্রচার সম্পাদক রিজু মোহাম্মদ, আব্দুর রশীদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরুল আজিম, শো টাইম মিউজিকের প্রেসিডেন্ট আলমগীর খান আলম, লায়ন্স কাবের প্রেসিডেন্ট আহসান হাবিব, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেকিল মাহমুদ, মিজানুর রহমান মিজান, ডা. জাদের আহমেদ, আক্তার বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন, শিল্পী রানো নেওয়াজ, শিল্পী আফতাব জনি প্রমুখ।

কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং সবাইকে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটি এখন শক্তিশালী কমিউনিটি। এই কমিউনিটি দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। গত নির্বাচনে আমরা বাংলাদেশি আমেরিকান এবং মুসলিম প্রতিনিধি হিসেবে সিটি কাউন্সিলে শাহানা হানিফকে পেয়েছি। আগামী নির্বাচনে আমরা আরো শাহানা হানিফকে দেখতে পাবো। কারণ নিউইয়র্কে নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশি আমেরিকানরা সর্বক্ষেত্রে ভালো করছে। তিনি বলেন, আমি সব সময় বাংলাদেশি কমিউনিটির পাশে আছি এবং থাকবো। তিনি আরো বলেন, জ্যামাইকা বাংলাদেশি ফ্রেন্ডস সোসাইটির সাথে আমার একটি সম্পর্ক রয়েছে। যে সম্পর্কের কারণে আমি তাদের অনুষ্ঠানকে নিজের অনুষ্ঠান মনে করে চলে আসি।

কন্স্যাল জেনারেল মনিরুল ইসলাম বলেন, নিউইয়র্কে এখন অনেক বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশিদের সংগঠন। তিনি এই সব সংগঠনের মাধ্যমে নিজেদের পাশাপাশি নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আপনাদের সহযোগিতা পেলে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে।

কাউন্সিলম্যান জিম জিনারো বলেন, আমি নিজেকে বাংলাদেশিদের প্রতিনিধি মনে করি। যে কারণেই অিিম সব সময় বাংলাদেশিদের পাশে রয়েছি এবং আগামীতেও থাকবো।

গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট এবং ডিস্ট্রিক্ট ২৪-এ থেকে ডিস্ট্রিক্ট লিডার পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতাকারী শাহ নেওয়াজ সবাইকে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আপনারা সবাইকে জানেন আমি নির্বাচন করছি। এই নির্বাচনে আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনারা যারা জ্যামাইকায় থাকেন তারা আমাকে আগামী ২৮ জুন ভোট দেবেন এবং যাদের আত্মীয়-স্বজন রয়েছে জ্যামাইকায় তাদেরও ভোট দেয়ার অনুরোধ করবেন। তিনি বলেন, আমি আপনাদের জন্য কাজ করতে চাই, মূলধারায় বাংলাদেশিদের অবস্থান তুলে ধরনের চাই। সে জন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানকে সফল এবং স্বার্থক করার সভাপতি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার সবার প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেন এবং আগামীতে জ্যামাইকা ফ্রেন্ডস সোসাইটির কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানান।


শেয়ার করুন