২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০২:২১:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


‘বাংলাদেশ সঠিক পথে রয়েছে’
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৯-২০২৩
‘বাংলাদেশ সঠিক পথে রয়েছে’


২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের এ্যাক্টিং কান্ট্রি ডিরেক্টর সুলেমান কৌলিবালি (Souleymane Coulibaly)। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির মধ্যে অন্যতম। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে দেশটি ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার জন্য সঠিক পথে রয়েছে, কারণ বাংলাদেশ করোনা মহামারি সত্ত্বেও এর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে”।

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) কর্তৃক আয়োজিত ‘বাংলাদেশে ছোটো উদ্যোগের ক্রমবিকাশ: প্রেক্ষিত RAISE প্রকল্প’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় সম্মাননীয় অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর পিকেএসএফ ভবনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এবং এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি।

ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, বাংলাদেশ জনমিতিক সুযোগ (demographic dividend) গ্রহণ করতে হলে ক্ষুদ্র উদ্যোগে বিনিয়োগ করা জরুরি। ক্ষুদ্র উদ্যোগের বিকাশে আর্থিক পরিষেবার পাশাপাশি অ-আর্থিক পরিষেবা যেমন সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক কর্মকা- বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পিকেএসএফ পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে ড. নমিতা হালদার এনডিসি বলেন, RAISE প্রকল্পটি পিছিয়ে পড়া মানুষের, বিশেষ করে তরুণদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। 

সভায় ‘বাংলাদেশে ছোটো উদ্যোগের বিকাশ: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ক উপস্থাপনায় পিকেএসএফ-এর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফজলুল কাদের দেশীয় ছোটো উদ্যোগের বিকাশে পিকেএসএফ-এর বিভিন্ন কার্যক্রম ও প্রকল্পের ভূমিকা তুলে ধরেন। এছাড়া, Recovery and Advancement of Informal Sector Employment (RAISE) প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে উপস্থাপনা প্রদান করেন জনাব দিলীপ কুমার চক্রবর্তী, মহাব্যবস্থাপক (কার্যক্রম) ও প্রকল্প সমন্বয়কারী, RAISE।  

উপস্থাপনাসমূহের ওপর আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক এম. এ. বাকী খলীলী। অনুষ্ঠানে তৃণমূল পর্যায়ের RAISE প্রকল্পের কয়েকজন অংশগ্রহণকারী তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। এছাড়া, এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন পিকেএসএফ ও এর সহযোগী সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিবৃন্দ।

ছোটো উদ্যোগে মানব সক্ষমতার বিকাশের লক্ষ্যে পিকেএসএফ ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে RAISE প্রকল্প ফেব্রুয়ারি ২০২২-এ যাত্রা শুরু করে। প্রকল্পটি ৭০টি সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে দেশের ৬৪টি জেলার ৩৩৩টি উপজেলার শহর ও শহরতলি এলাকায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পাঁচ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের আওতায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার তরুণ ও ছোটো উদ্যোক্তার সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, তরুণদের শোভন ও মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থানে যুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে জঅওঝঊ প্রকল্প সরকারের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (SDG) অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

শেয়ার করুন