বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠ বেশ গরম। ছোট্ট ইস্যু, এটাও মুহূর্তে বড় হয়। এর মূলে পুরোনো সমস্যা, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। আওয়ামী লীগ একচ্ছত্র প্রাধান্য বিস্তার করে ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকায় এর বিপক্ষে বড় এক গ্রুপ অসহায়ের মতো ছটফট করতো! শেখ হাসিনা এগুলো ম্যানেজ করতে যেখানে গরম, যেখানে নরম, সে থেরাপি ব্যবহার করতেন। কিন্তু শেখ হাসিনার পতনের পর এ ক্ষমতায় কে কোথায় ভাগ বসাবেন এ নিয়ে এখন ব্যাপক দ্বন্দ্ব। রাষ্ট্রপতি পদ। এ পদ ঘিরে এখন নানা জল্পনা কল্পনা রাজনীতির অঙ্গনে।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু অনেকটাই গৃহবন্দি টাইপে। তাকে যা করতে বলা হয়, তাই করছেন, করতে বাধ্য। শেখ হাসিনার একক পছন্দে চুপ্পুকে রাষ্ট্রপতি করেন। গণঅভুত্থানে পরাস্ত শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের শাসন ব্যবস্থা ভেঙে চুরমার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে লন্ডভন্ড শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ। শুধু সাংবিধানিকভাবে টিকে আছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ চুপ্পু। এখন এ চুপ্পুর ভবিষ্যৎ নিয়ে তোলপাড়। কেউ বলছেন চুপ্পু থাক, কেউ না-তার অপসারণ অত্যাবশ্যক।
অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে বহু ইস্যু। ব্যস্ততায় ঘুম হারাম হওয়ার উপক্রম উপদেষ্টাদের। কিন্তু এরই মধ্যে চুপ্পু ইস্যু জটিল, যেটা ঘিরে বর্তমান সময়ে রাজনীতিতে সরব দলগুলো বেশ তৎপর।
সমস্যার মূলে একটি পত্রিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ চুপ্পু বলেছিলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র তিনি খুঁজে পাননি। ব্যাস। এরপর থেকেই এক পক্ষ চুপ্পুকে হটানো, অন্যপক্ষ চুপ্পুকে রেখেই জাতীয় নির্বাচনে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানাচ্ছে। চুপ্পুকে রেখে নির্বাচনের কথা বলছে বিএনপি। এছাড়া অন্য সব দল চুপ্পুকে হটিয়ে সেখানে নতুন একজনকে রাষ্ট্রপতি করার পক্ষে। ব্যাপক অলোচনা শেষে যে বিষয়টাতে ঐক্য হওয়া গেছে, সেটা হলো চুপ্পুকে সরাতে সাংবিধানিক জটিলতা নেই। রাজনৈতিক ঐক্য হলেই যথেষ্ট। কিন্তু কোটি টাকার প্রশ্ন এ রাজনৈতিক ঐক্যটা কী আদৌ সম্ভব?
বিএনপি এ দৃষ্টিকোণ থেকেই জানান দিচ্ছে যে, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বড় কোনো ফ্যাক্টর এ মুহূর্তে নন। ওনাকে যা বলা হবে উনি সেটাই করে দেবেন। ফলে চুপ্পুর স্থানে চুপ্পু থাক। মানে রাষ্ট্রপতির স্থানে আওয়ামী লীগের মনোনীত বা অবশিষ্ট ব্যক্তিটা থাকুক।
কেননা বিএনপি অন্যসব দলের সঙ্গে একমত পোষণ করলেই বড় প্রশ্ন উঠবে, তাহলে কে হবে রাষ্ট্রপতি। এবার রাষ্ট্রপতি খোঁজার মিশনে যেসব নাম আসবে এখানেই ঘটবে বিপত্তি। জামায়াতপন্থী যদি কেউ আসেন, তাহলে বিএনপিসহ অন্যরা মানবেন না। আর বিএনপি বা অন্য কেউ যদি ওই স্থানে সিলেক্ট হন, তাহলে জামায়াতসহ হয়তো অন্যরা সেটা মানবেন না।
ফলে এই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে যে অনৈক্য শুরু হবে, সেটা ব্যাপক আকার ধারণ করতেই পারে। কালক্ষেপণের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে সাংবিধানিক একটা গ্যাপ তৈরি হয়ে যাবে। সেটা কয়মাস লেগে যাবে কে জানে! ফলে রাষ্ট্রপতি পদশূন্য চলতে থাকলে দেশের হাল কে ধরবে। সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতি না থাকলে, সে স্থানে স্পিকার দায়িত্ব নেবেন অথবা ডেপুটি স্পিকার। কিন্তু এরই মধ্যে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন। ডেপুটি স্পিকার কারাগারে। তাহলে রাষ্ট্রপতির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে কে হাল ধরবেন। একদিকে শূন্যতা, অন্যদিকে অনৈক্য।
এতে করে দেশে যে ক্রাইসিস শুরু হবে, যে কোনো মুহূর্তে যে কোনো দিক টার্ন করতে পারে। সাংবিধানিকভাবে শেখ হাসিনার দাবি তিনি এখনো প্রধানমন্ত্রী। তাহলে কোনোভাবে প্রধান উপদেষ্টার কিছু হলে দেশ সাংবিধানিক বিশাল শূন্যতা তৈরি হবে। এ সুযোগে হতে পারে অনেক কিছু। বিএনপি এ দৃষ্টিকোণ থেকে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার তাগিদ দিয়ে আসছে।
অন্যদিকে জামায়াত এসব কিছু মনে করছে না। তারা চায় চুপ্পুর অপসারণ এবং নতুন রাষ্ট্রপতি। জামায়াত মনে করে যত দেরিতে নির্বাচন, ততই তাদের জন্য মঙ্গল! নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সব দেনদরবারে তাদের গুরুত্ব।
একইভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও ব্যাপকভাবে চাচ্ছে স্বৈরাচারের কোনো দোসর সাংবিধানিক পদে থাকতে পারবে না। সূচনাতেই যে কাজটা করা উচিত ছিল সেটা না করে তারা ভুল করেছে। এখন রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের মাধ্যমে সে কাজটা সম্পাদিত করে ফেলতে চায়।
বিএনপির যত ভয়
দীর্ঘ ১৬ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছে বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। বাংলাদেশ এখন সে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে। এখন দেরি হওয়া মানে বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার কালক্ষেপণ। বিএনপি বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দলটি মনে করছে রাষ্ট্রপতি অপসারণ এবং সেখানে রিপ্লেস ইস্যু দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং এখানে একটি অনৈক্য তৈরি করে শেষ পর্যন্ত এমন একজনকে বসানো হয়তো হবে, যিনি হয়তো বর্তমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চিন্তাধারার সঙ্গে একমত হবেন। তিনিও দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকবেন এবং যতদিন অন্তর্বর্তী সরকারের যে রূপরেখা হাতে নিয়েছে সংস্কারের, সেগুলোর বাস্তবায়ন পরিপূর্ণভাবে না হবে, ততদিন রাষ্ট্রপতি যদি কোনো রকম নির্বাচনের উদ্যোগ না নেন, তাহলে কিছুই করার থাকবে না।
হয়তো এমন অবস্থা চলতে যেয়ে বড় আন্দোলনে নেমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেরর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে হতে পারে। তাছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীদের এখনো লাখ লাখ মামলা বিদ্যমান। সেগুলো যদি প্রত্যাহার না হয় তাহলে বিএনপি বড় ধরনের বিপাকে পড়ে যাবে। ফলে অন্তর্বর্তী যা চাইবে, সে পথে না হাঁটলে বিএনপিকে প্রচণ্ড প্রেসারে পড়ে যেতে হবে।
বিএনপি এজন্যই আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ চায় না। যা ইতিমধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অগ্রসৈনিক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম রিট করেছেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর আওয়ামী লীগ রাজনীতি করার অধিকার হারানোর পর বাকি বিএনপিকে মামলা দিয়েই প্যাঁচে ফেলে আটকানো যাবে।
এরপর বছরের পর বছর চলতে পারবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্বের মধ্যে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন। তিনি বাংলাদেশকে চালিয়ে নিতে পারবেন অনায়াসে এবং প্রভাব বিস্তার করে এটা সবারই জানা! এতে করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা যে চিন্তা ধারা নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম, বুকের তাজা রক্ত দিয়েছেন সেগুলো বাস্তবায়নের সুযোগ পাবেন, যা হবে তাদের ভাষায় আধুনিক এক রাষ্ট্রকাঠামোর বাংলাদেশ।
আওয়ামী লীগ পুনর্বাসিত হওয়ার শঙ্কা
রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে যদি ঐক্য না হয়, তাহলে শূন্যতা দেখা দেবে। এ সুবাদে যে দীর্ঘ গ্যাপ বা নির্বাচন হতে দেরি হলে সেখানে কোনো না কোনোভাবে আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনাও ঢুকে যেতে পারেন। কারণ ভারত আপাতত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি বাংলাদেশে কীভাবে শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসিত করা যায়। শেখ হাসিনার পুনর্বাসন মানেই ভারতে যত লাভ। ফলে এ ব্যাপারে পিছপা হবেন কেন তারা। শেখ হাসিনা চলে গেছেন। কিন্তু দীর্ঘ দেড় যুগ প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্থরে যে ভারতপন্থীরা রয়েছেন, তাদের বেশির ভাগ এখনো বিদ্যমান। ফলে সময়মতো এরা কোনো উদ্যোগ নিলে তার সঙ্গে পুরোনোরাও যোগ দিলে বিষয়টি সহজসাধ্য হয়ে যায়। রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে একটা শূন্যতা তৈরি হলে ওই সুযোগটা নেওয়া হলে হতে পারে।
জামায়াত কী চায়
প্রশ্ন আসতে পারে, জামায়াত এদের চিন্তাধারা কী সাপোর্ট দেবে? দীর্ঘদিন মার খেয়ে জামায়াত কোণঠাসা। নির্বাচনের আগে যতদিন সময় পাবে, জামায়াত তাদের আদর্শ তত বেশি প্রচার করতে পারবে। এটাতে ভবিষ্যতের জন্য জামায়াত দারুণ একটি প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে যেতে পারবে। আওয়ামী লীগবিহীন দেশে বিএনপির বিকল্প তখন জামায়াতে ইসলামীই দেশের ক্ষমতা লাভ করার পথ সুগম হবে। ফলে কালক্ষেপণে সমস্যা নেই জামায়াতের।
কেননা, এখন নির্বাচন দেওয়ার অর্থ বিএনপি একচেটিয়া সিট লাভ করবে। মেজরিটি পেয়ে সংসদে যাবে। বিএনপি এখন হয়তো একটি চিপায়, কিন্তু নির্বাচনের ঘোষণা হওয়ার পর বিএনপির আর লেজে পা রাখা যাবে না। ফলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যদি রাষ্ট্রকাঠামোর বড় একটি পরিবর্তন করতে পারে। আর সেখানে জামায়াত যদি তাদের পছন্দের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে পারে, এটা হবে জামায়াতের জন্য বিশাল বড় পাওয়া। ফলে তারা এ মুহূর্তে চুপ্পুর অপসারণ এবং দীর্ঘসময় ধরে রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারে মত।
বিএনপির নীতি পরিবর্তন
চুপ্পুকে পরিবর্তন করে শেষ মুহূর্তে রাজনৈতিক ঐকমত্য হতে না পারলে এক সময় হয়তো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাষ্ট্রপতি পদে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি করার প্রস্তাবনা দিতে পারেন। এখানে বিএনপিও অমত করতে পারবে না। ফলে রাষ্ট্রপতি পদে বসে গেলেন ইউনূস। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার পদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রবৃন্দ তাদের চেতনার সঙ্গে একমত এমন একজনকে প্রধান উপদেষ্টা পদে নিয়ে আসতে পারেন। এটা হলেও বিএনপির জন্য সমস্যা। প্রফেসর ইউনূস যতটা সহজে কথাবার্তা শুনছেন বা করেন। নতুন কেউ এলে সে হয়তো সেটা না-ও করতে পারে। ফলে ওই যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কালক্ষেপণের ব্যবস্থা চূড়ান্তভাবে হয়ে যাবে।
এমনিতেই মানুষের মধ্যে একটি প্রবাদ চালু যে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একই চরিত্রের। বিএনপির সময় বিএনপি যা না করেছে, তার চেয়ে ঢের বেশি প্রচার করছে আওয়ামীপন্থী মিডিয়া ও শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রী-এমপিরা। ফলে মানুষের মধ্যে ১৭ বছরের আগের বিএনপিকে এখনো ভয়ংকর রূপে মনে তরতাজাভাবে চেপে আছে।
তাছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার আসার পরও বিএনপি তাদের নেতাকর্মীদের অনেককেই নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছেন। যা তিলকে তাল করে প্রচার করেছে মিডিয়া। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ব্যাপক পরিমাণ নেতাকর্মী বহিষ্কার করলেও এখনো ওই খবর প্রতিনিয়ত ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে। এটা বিএনপির এ মুহূর্তে বড় নেগেটিভ একটা দিক।
বিএনপি তাদের নেতাকর্মীদের চমৎকারভাবে নিয়ন্ত্রণ করলেও সে খবরটা প্রকাশ পাচ্ছে কম। এটা বিএনপিবিরোধী যারা যেমন আওয়ামী লীগ ও জামায়াত সুকৌশলে প্রচার করে বেড়াচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতৃবৃন্দ ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে হটানোর। ইতিমধ্যে তারা বিএনপি ছাড়া সব দলের সঙ্গে সংলাপ করে সাপোর্টও পেয়েছে। বিএনপি শেষ পর্যন্ত দলীয় ফোরামে আলাপ করে জানাবেন বলে সময় নিয়েছে।
শেষ পর্যন্ত যদি চুপ্পু হটানোর প্রক্রিয়াই মেনে নিতে হয় বিএনপিকে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বিএনপিকে নতুন করে আন্দোলনেরও ছক আঁকতে হবে এ অন্তর্বর্তীকে সরানোর। যার কিছু নমুনা ইতিমধ্যে দেখাও গেছে। বিএনপির অনেক নেতা প্রকাশ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ব্যাপক সমালোচনা করছে। প্রয়োজনে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করার সুযোগ তৈরি হয় এমন কথা, সেটা বলে হলেও।
তবে হাল সময়ে অবস্থা বুঝে বিএনপি নিজের কৌশলে পরিবর্তন এনেছে। ইতিমধ্যে জামাতের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বরা অংশ নিতে শুরু করেছেন, যা সখ্য গড়ে তোলার চেষ্টাই মনে হচ্ছে। এতে করে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে সেটা কাটিয়ে উঠতে পারলে রাজনৈতিক যে বিতর্ক সেটা অনেকাংশেই হ্রাস পাবে বৈকি!
এ ভিন্ন উপায়ও নেই। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাদের লড়তে হয়েছিল দীর্ঘ দেড়যুগ ধরে। এ অন্তর্বর্তীকে হটাতে তাদের যদি আবারও সে আন্দোলন করতে যেতে হয়, তাতে সাধারণ মানুষের বিরাগভাজন হবেন। সব মিলিয়ে বিএনপি এক কঠিন অবস্থার মুখোমুখি।
বাস্তবতা না মেনে উপায়ও নেই। কারণ বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রাম করে আওয়ামী লীগ হটাতে পারেনি। যারা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হটিয়েছে সেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের কথা ও চাওয়া মেনে নেওয়া ছাড়া আর কিই-বা উপায় আছে!