২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৬:৫৬:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


দেশকে শারমিন সুলতানা সুমি
অন্ধকার এই পৃথিবীতে আলো আসা দরকার
আলমগীর কবির
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-১২-২০২৩
অন্ধকার এই পৃথিবীতে আলো আসা দরকার শারমিন সুলতানা সুমি


শারমিন সুলতানা সুমি। অনেক দিন ধরেই তিনি দেশের সঙ্গীতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক গানকে এক করতে চাইছেন। সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি নরওয়ের শিল্পী মারতে উলফের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করেছেন নতুন গান। এই গান নিয়ে তিনি কথা বলেছেন নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আলমগীর কবির 

প্রশ্ন: ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় এসেছে আমার নতুন গান লেট দ্য লাইট ইন। এই গানের বিষয়বস্তুটা আসলে কি নিয়ে?

শারমিন সুলতানা সুমি: বিষয়বস্তুটা আসলে মানুষের জীবন নিয়ে। যুদ্ধ এবং আশা এখানে মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। পৃথিবীতে এত এত যুদ্ধ, এত ভয়াবহতা! যুদ্ধের এই ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ, এমনকি শিশুরাও। আমরা যদিও সরাসরি যুদ্ধের কথা বলছি না, আমরা বলছি, এই যে পৃথিবীজুড়ে এত অন্ধকার, এই অন্ধকার কেটে আলো আসা প্রয়োজন। গানের শিরোনাম ‘লেট দ্য লাইট ইন’। নরওয়ের শিল্পী মারতে উলফকে নিয়ে চিরকুটের এই যৌথ প্রয়াস।

প্রশ্ন: নরওয়ের শিল্পী মারতে উলফ এর সঙ্গে কীভাবে পরিচয়?

শারমিন সুলতানা সুমি: মারতে উলফ নরওয়ের একজন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও গীতিকার। গান গাওয়ার পাশাপাশি জলবায়ু নিয়েও কাজ করে সে। গত বছর থেকে তার সঙ্গে বন্ধুত্ব।

প্রশ্ন: কেন মনে হলো যে এই সময় এই গানটা প্রয়োজন?

শারমিন সুলতানা সুমি: গান দিয়েই তো চিরকুট প্রতিবাদ জানায়, গান দিয়েই সচেতন করে মানুষকে। নদী বাঁচাতে তাই চিরকুটকে পাওয়া গেছে ব্যতিক্রমী নদী রকস কনসার্টে। জলবায়ুর সচেতনতায়ও কাজ করছে ব্যান্ডটি। আমাদের মনে হয়েছে, যুদ্ধের ভয়াবহতা বন্ধ করে আলোকময় এক পৃথিবীর প্রত্যাশায় এমন একটা গান হওয়া প্রয়োজন। এই গানটা দিয়ে আমরা বার্তা দিতে চাই, এই যে পৃথিবীজুড়ে এত যুদ্ধ, এত অন্ধকার, এত এত মৃত্যু- এসব বন্ধ হওয়া দরকার। অন্ধকার এই পৃথিবীতে আলো আসা দরকার। 

প্রশ্ন: গানটির গীতিকার আসলে কে?

শারমিন সুলতানা সুমি: পুরো গানটি লিখেছে ও সুর করেছে মারতে উলফ। একটা বাংলা অংশ আছে, ওটা আমার লেখা। মিউজিক করেছে চিরকুট ব্যান্ড। গান গেয়েছে মারতে উলফ ও চিরকুট ব্যান্ড। রেকর্ডিং হয়েছে ঢাকার বাটার কমিউনিকেশন স্টুডিও এবং অসলোর একটি স্টুডিওতে।

প্রশ্ন: দুই দেশ মিলিয়ে গানের কোলাবরেশনটা কিভাবে হলো?

শারমিন সুলতানা সুমি: আমরা তো দেশের বাইরে গেলে কোলাবরেশন করার চেষ্টা করি। এবার নরওয়েতে যখন ক্রিস্টিয়ানস্যান্ড রাউন্ডটেবিল কনফারেন্সে গেলাম, ভাবলাম মারতের সঙ্গে একটা গান করা যায়। পরের দিন সে একটা গান বানিয়ে পাঠিয়ে দিল। বললাম, গানটা ভালো হয়েছে, মাইন্ড করবা, যদি আরেকটা গান বানাতে বলি, আরেকটু রিদমিক? মারতে খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে নিল ব্যাপারটা। পরের দিন আরেকটা গান বানিয়ে পাঠাল। শুনেই আমার পছন্দ হয়ে যায়। আমি গেলাম। ভয়েস দিলাম। এরপর গানটা দেশে পাঠিয়ে দিলাম। আমাদের ব্যান্ড মেম্বাররা গানটির মিউজিক করে পাঠায়। শুনে মারতেও খুব পছন্দ করে। আমি দেশে ফিরে গানটা ফাইনাল কম্পোজিশন করি।

প্রশ্ন: ক্রিস্টিয়ানস্যান্ড রাউন্ডটেবিল কনফারেন্সটা কী টাইপের কনফারেন্স?

শারমিন সুলতানা সুমি: নরওয়ের ক্রিস্টিয়ানস্যান্ডে ইউনিভার্সিটি অব অ্যাগডার আয়োজিত একটি মিউজিক কনফারেন্স। বার্কলি ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন, ওয়েস্ট মিনস্টারসহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন বিখ্যাত ইউনিভার্সিটির স্কলাররা যাঁরা মিউজিক নিয়ে থিসিস ও রিসার্চবেইজ কাজ করেন, তাঁরা অংশ নেন এই কনফারেন্সে। প্রতিবছর এই কনফারেন্স হয়। এ বছর নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হলো কনফারেন্সটি।

প্রশ্ন: মারতে উলফের সঙ্গে তো কনফারেন্সের সুবাদেই পরিচয়?

শারমিন সুলতানা সুমি: তাঁর সঙ্গে পরিচয় গত বছর। এ বছরও তাঁর একটা প্রেজেন্টেশন ছিল। আমি যাচ্ছি শুনে আগেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। এরপর নরওয়েতে গিয়ে কনফারেন্সেই আমরা গানের পরিকল্পনা করি।

শেয়ার করুন