অনেকের
ধারণা থ্যাংঙ্কগিভিংয়ে ইনডোর পার্টির কারণে ফ্লু ব্যাপকভাবে দ্রæত ছড়িয়েছে। বছরব্যাপী
সামান্য মাত্রায় ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ছড়ালেও সাধারণত আমেরিকায় শরৎকাল ও শীতকালে ফ্লু
মৌসুমের আগমন ঘটে এবং
অতিমাত্রায় ফ্লু ভাইরাস বিস্তারের
পিক সময় হলো ডিসেম্বর
থেকে ফেব্রæয়ারি মাস। অপর
এক পরিসংখ্যান প্রকাশ করে আমেরিকান ফ্লু
বার্ডেন। তাদের তথ্য অনুযায়ী, গত
২০১০-১১ সালে মৃতের
সংখ্যা ছিল ৩৭ হাজার,
আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২১ মিলিয়ন।
আর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিল ২ লাখ ৯০
হাজার। ২০১১-১২ সালে
মৃতের সংখ্যা ছিল ১২ হাজার,
আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯.৩
মিলিয়ন। আর হাসপাতালে চিকিৎসা
নিয়েছিল ১ লাখ ৪০
হাজার। ২০১২-১৩ সালে
মৃতের সংখ্যা ছিল ৪৩ হাজার।
আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৪ মিলিয়ন
আর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিল ৫ লাখ ৭০
হাজার। ২০১৩-১৪ সালে
মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৮ হাজার।
আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩০ মিলিয়ন
আর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিল ৩ লাখ ৫০
হাজার। ২০১৪-১৫ সালে
মৃতের সংখ্যা ছিল ৫১ হাজার।
আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩০ মিলিয়ন
আর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিল ৫ লাখ ৯০
হাজার। ২০১৫-১৬ সালে
মৃতের সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার।
আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৪ মিলিয়ন।
আর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিল ২ লাখ ৮০
হাজার। ২০১৬-১৭ সালে
মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৮ হাজার।
আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৯ মিলিয়ন।
আর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিল ৫ লাখ। ২০১৭-১৮ সালে মৃতের
সংখ্যা ছিল ৫২ হাজার।
আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪১ মিলিয়ন।
আর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিল ৭ লাখ ১০
হাজার। ২০১৮-১৯ সালে
মৃতের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার।
আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৯ মিলিয়ন।
আর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিল ৩ লাখ ৮০
হাজার। ২০১৯-২০ সালে
মৃতের সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার।
আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৬ মিলিয়ন।
আর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিল ৩ লাখ ৯০
হাজার।
২০২৩
সালের জানুয়ারি-ফেব্রæয়ারি মাসে ফ্লু
ভাইরাস বর্তমান সংখ্যা বহুগুণে বৃদ্ধি পেতে পারে। এজন্য
সবাইকে সতর্ক হতে হবে। সিডিসি
১ অক্টোবর থেকে ১৭ ডিসেম্বর
২০২২ সালের হিসাব থেকে সম্ভাব্য ধারণা
করা হচ্ছে যে ১৮-২২
মিলিয়ন মানুষ ফ্লুতে অসুস্থ হতে পারে। ৯-১৮ মিলিয়ন মানুষ
মেডিকেল ভিজিট করতে পারে। ১
লাখ ৯০ হাজার থেকে
৪ লাখ মানুষ হাসপাতালে
চিকিৎসা নিতে পারে। মৃতের
সংখ্যা হতে পারে ১২
হাজার থেকে ৩৫ হাজার।
এদিকে
কোভিড-১৯ বা করোনা
সারা আমেরিকায় ছড়াচ্ছে ভ্যাকসিন-বুস্টার নেয়ার কারণে তা আগের মতো
মহামারী আকারে মৃত্যুর ঝুঁকি নেই। কিন্তু বয়স্ক
ও অসুস্থদের জন্য করোনা এখনো
বিপজ্জনক। করোনা এখনো আমেরিকায় রয়েছে
এবং তা বাড়ছে। তাই
অভিজ্ঞ মহল মনে করে
করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন ও বুস্টার প্রয়োজন
অনুযায়ী নেয়া জরুরি। হলিডে
সিজনে করোনা ৪৪ ভাগ বৃদ্ধি
পেয়েছে। এ সময়ে কোল্ড,
ফ্লু আর করোনায় আক্রান্ত
রোগী বেড়ে যাওয়ায় অনেক
হাসপাতালে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। সেই সাথে
স্টাফ সমস্যাও দেখা দিয়েছে। আমেরিকায়
পুরোপুরি ভ্যাকসিনেড ৬৪ শতাংশ। এর
মধ্যে বুস্টার নিয়েছেন ৩৪ শতাংশ। আর
৬৫ বয়স ঊর্ধ্ব ভ্যাকসিন
নিয়েছেন ৯৩ শতাংশ, আর
বুস্টার নিয়েছেন ৬৭ শতাংশ।