২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৪:২১:২২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাস বিক্রি হলো ৭.১ মিলিয়ন ডলারে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৭-২০২৩
ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাস বিক্রি হলো ৭.১ মিলিয়ন ডলারে ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাস ভবন


যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি শহরের কেন্দ্রস্থলে সরকার মালিকানাধীন একটি  ঐতিহাসিক পাকিস্তান দূতাবাস বিক্রির প্রক্রিয়া ফেডারেল সরকারের জারি করা নির্দেশ অনুসারে সম্পন্ন হলো। সম্পত্তিটি ক্রয় করেন আবদুল হাফিজ খান নামের একজন পাকিস্তানি-আমেরিকান, যিনি ৭.১ মিলিয়নের সর্বোচ্চ দর প্রস্তাব করেছিলেন, বিষয়টিতে অনুমোদন দেয়  ফেডারেল মন্ত্রিসভা। এই  উপলক্ষে গত ১৫ জুলাই ওয়াশিংটন ডিসির লিংকন লাইব্রেরি, ওয়াল্ডর্ফ অ্যাস্টোরিয়া হোটেলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কংগ্রেসওম্যান জেসমিন ক্রকেট, কংগ্রেসম্যান গ্রেগরি মিক্স এবং প্রাক্তন কংগ্রেসওম্যান এডি বার্নিস জনসন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জনসন ঐতিহাসিক ভবনটি কেনার জন্য খানকে অভিনন্দন জানান। 

তিনি তার কৃতিত্বগুলো তুলে ধরেন এবং তার ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা জানান। পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মাসুদ খান মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তর করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। অন্য কোনো সম্পত্তি বিক্রি করা হচ্ছে না বলেও তিনি স্পষ্ট করে দেন। খান তার প্রস্তাব গ্রহণ করার জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং ফেডারেল মন্ত্রিসভাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। খানের মতে, পাকিস্তানি-আমেরিকান নাগরিক হিসাবে, কয়েক দশক ধরে পাকিস্তানি সম্প্রদায়কে পরিষেবা প্রদান করে  আসছে এমন একটি ভবনের মালিক হওয়া তার জন্য গর্বের বিষয়। প্রায় দুই দশক ধরে ওয়াশিংটন ডিসির ডাউনটাউনের বাসিন্দা এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা ওই এলাকার প্রাক্তন পাকিস্তানি কনস্যুলেটের অবস্থা সম্পর্কে একাধিকবার  অভিযোগ করেছিলেন।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী, আর স্ট্রিটের কোণে বড় বিল্ডিংটি স্থানীয় মানুষের অসুবিধার কারণ হয়ে উঠেছিল। বড় ভবনটির  বন্ধ দরজার সামনে জমে উঠছিল আবর্জনা, পার্কিং লটে বেড়ে উঠছিল আগাছা।

 স্টেট ডিপার্টমেন্ট কূটনৈতিক সম্পত্তি হিসাবে বিল্ডিংটি তালিকাভুক্ত না করা পর্যন্ত শহরটির মানুষের কিছু করার ক্ষমতা ছিল না। অন্যদিকে পাকিস্তানের অডিটর জেনারেল (এজিপি) আবিষ্কার করেছিলেন যে মার্কিন ক্যাপিটলের দূতাবাসের সারিতে অবস্থিত দুটি সরকারি মালিকানাধীন ঐতিহাসিক ভবনের মেরামত ও সংস্কারের জন্য প্রায় ৭ ডলার  মিলিয়ন ব্যয় করা হয়েছিল কিন্তু শেষ ফলাফল হল একটি ভবন জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে, অন্যটি যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। পরবর্তীকালে, ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বরের বৈঠকে, ফেডারেল মন্ত্রিসভা ভবনটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়।

শেয়ার করুন