২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ১০:৪৩:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


জিএম কাদেরের হুঙ্কারের নেপথ্যে কি?
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৬-২০২৩
জিএম কাদেরের হুঙ্কারের নেপথ্যে কি? জি এম কাদের


রাজনৈতিক অঙ্গনে জাতীয় পার্টি (জাপা) আরো শক্তি নিয়ে বর্তমানে সত্যিকারভাবেই সংসদের পাশাপাশি রাজনৈতিক মাঠেও প্রধান বিরোধী দল হিসাবে দাঁড়াতে চায়। আর একারণে রাজনৈতিক মাঠে খুবই সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে দলটি। এর পাশাপাশি যেনো দলটিকে দেশে বিদেশে একটি শক্তিশালি প্রধান বিরোধী দল হিসাবে সর্বমহলের কাছে গ্রহণীয় হয়। একারণে রাজনৈতিক মাঠে গর্জে উঠেছে, দিচ্ছে হুঙ্কার। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি কারণে জাপা মাঠে সক্রিয় হয়েছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। 

জাপার হালহকিকত

জাতীয় সংসদে একইসাথে সরকার ও বিরোধী দলে আছে জাতীয় পার্টি। দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে যেটি নজীরবিহীন এক ঘটনা। অথচ দলটির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ জীবদ্দশায় বারবার অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলতেন যে নির্বাচনে তার দল এককভাবে ৩শ’ আসনে প্রার্থী দিয়ে অংশ নেবে। এমনকি  নির্বাচনে জয়লাভ করে তার দল দেশ পরিচালনা করবেন বলে আশা করতেন তিনি। কিন্তু গত ১৪ বছরে জাপা আওয়ামী লীগ সরকারের শরিক হিসাবেই পরিচিতি পেয়েছে। এর বিপরীতে গিয়ে গত ১৪ বছরে দলটির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদও জীবদ্দশাতে সামান্যতম হুঙ্কারেই ক্ষমতাসীনদের রোসানলে পড়েছে। ফলে জাপা কার্যত চিড়িয়াখানার বাঘে পরিণত হয়েছে ধীরে ধীরে। দলটির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ মারা যাওয়ার পর বর্তমান জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বেলাতেও দলটি একপা আগালে দু’ই পা পিছিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এরশাদ মারা যাওয়ার পরে জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের যেনো কোনোভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারেন সেজন্য কখনও কখনও প্রয়াত এইচ এম এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিককে মাঠে নামানো হয়েছে। আবার কখনো জাতীয় পার্টির সদ্য প্রয়াত নেতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদকে দৃশ্যপটে আনা হয়। এভাবে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে বলা যায় নাস্তানাবুদ হয়ে যায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে। অভিযোগ রয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে জিএম কাদেরের নেতৃত্বে জাপা যেনো একটি শক্তিশালি বিরোধী দল হয়ে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য এমন ঘটনা ঘটানো হচ্ছে সরকারের বিভিন্ন ধরনের মেকানিজম ব্যবহার করে। এমন ঘটনাও দেখা গেছে দলটির সদ্য প্রয়াত নেতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ ও ভাই জিএম কাদের দু’জনেই নিজেকে দলটির চেয়ারম্যান বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সকালে একপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে দলটির একাংশ জেনারেল এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদকে তাদের দলের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করে। এরই কয়েক ঘণ্টা পরে দলটির আরেক অংশ জিএম কাদেরকে তাদের বৈধ চেয়ারম্যান বলে দাবি করে রাজনৈতিন অঙ্গনে ভিন্ন মাত্রা তৈরি করে। আর এতে করে বাংলাদেশে জাতীয় পার্টির সদ্য প্রয়াত নেতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের রেখে যাওয়া দলটি মাথা তুলেই দাঁড়াতে পারছে না বলে দলের বেশ কয়েকজন নেতা এই প্রতিবেদককে জানান। তাদের মতে, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের অবর্তমানে তাঁর ভাই জিএম কাদেরই হবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হবেন বলে ২০১৯ জানুয়ারিতে দলের উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেন (এরশাদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে)। এরশাদ সেই চিঠিতে বলেছিলেন, ‘আমি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসাবে পার্টির সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখছি যে, আমার অবর্তমানে পার্টির বর্তমান কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ।

এখন কি করেছে জাপা

সরকারের এমন কঠোর নজরদারি আর কূটকৈৗশলে এসরকারের আমলে প্রায় তের বছরে তেমন উচ্চবাচ্য করেনি জিএম কাদেরের জাতীয় পার্টি। মাঝে মাঝে আক্ষেপ হা হুতাশ করতে দেখা গেছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও তার দলের কয়েক জনকে। কিন্তু অতিসম্প্রতি দলটি অতিমাত্রায় সরকারের বিরুদ্ধেই গর্জে উঠেছে বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে বলাবলি হচ্ছে। এমন কর্মকান্ডে সরকারের ঘরেই নানান গুঞ্জন কেনো এমন করছে তাদের আশ্রয়ে থাকা জাপা? একারণে সবার অজান্তেই বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে, এমন বক্তব্য দেওয়ায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদেরের কঠোর সমালোচনা করেছেন সম্প্রতি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুজন সংসদ সদস্য। তাঁরা বলেছেন, বিএনপির নেতারা এ ধরনের বক্তব্য দিলে মানা যায়। কিন্তু সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে জাতীয় পার্টি কীভাবে এ বক্তব্য দেয়, তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না। তবে ঘটনা এতে শেষ হয়ে যায়নি। এরপর জাতীয় পার্টির একটি বড়ো অংশ সরকারের বিরুদ্ধে নানান ধরনের বক্তব্য রেখে যাচ্ছেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় এই উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশের সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা কুক্ষিগত করতে পারে না। কারণ সেসব দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা সরকারের ক্ষমতার আওতার বাইরে। এটা কোনো কঠিন কাজ নয়, শুধু সবার ইচ্ছা থাকলেই হয়। নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িতদের যেন দলীয় নেতাকর্মী বানানো হচ্ছে। দলীয় গুন্ডাবাহিনী দিয়ে নির্বাচনের কেন্দ্র দখল করা হচ্ছে। তিনি আবার বলেছেন, দেশের বর্তমান শাসন পদ্ধতিতে শতকরা একশ ভাগ ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে। মন্ত্রিসভা ও সংসদ পরিবর্তন করে কোনো লাভ নেই। নিজের অধীনে নির্বাচনে কেউ পরাজিত হতে চাইবে এটা আশা করা পাগলামি। আবার সর্বশেষ দু’টি গণমাধ্যমে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় এই উপনেতা জিএম কাদের বোমা ফাটিয়ে আলোচনার ঝড় তুলেছেন। তা হলো সুষ্ঠু ভোট হলে আওয়ামী লীগ নির্বাচনেই যাবে না-এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি আরো বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের আদর্শ পরিবেশ আওয়ামী লীগ কখনই তৈরি করতে দেবে না। সম্প্রতি একটি পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, সেই পরিবেশ তৈরি হলে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনেই যাবে না। যদি আদর্শ পরিস্থিতিতে নির্বাচন হয়, তাহলে এমনিতেই সরকারের পতন হয়ে যাবে। অর্থনীতির প্রভাব লাগবে না। তিনি আরো বলেন, সবাইকে বাকশালের সদস্য করা হয়েছিল আইনগতভাবে। এখন আইনি কাঠামো না দিয়ে, নিজস্ব কায়দায় বাকশাল করা হয়েছে। আমি যা শুনেছি, আজকাল সেনাবাহিনীতে পর্যন্ত জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘তুমি আওয়ামী লীগের লোক কিনা?’ 

আবার আরেকটি পত্রিকায় বলেছেন, জনগণের হাতে রাজনীতি নেই, জনগণের কাছে দেশের মালিকানাও নেই। রাজনীতি চলে গেছে যারা দেশ শাসন করছেন তাদের হাতে। এই পরিস্থিতিতে এখন বিদেশিদের দিকে তাকিয়ে আছি। বিদেশিরা চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। এই চাপটা যদি  তারা সৃষ্টি করে সফল হয় তাহলে  জনগণ উদ্ধার হবে। বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে এই সাক্ষাৎকারেই তিনি আশাবাদের পাশাপাশি আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেছেন, বিদেশিরা সফল হলে জনগণ উদ্ধার হবে, সরকারের কাছে অপশন কম।

কেনো এমন হুঙ্কার

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের শুধু যে সংসদের ভেতরে এবং বাইরে একটি বিরোধী দল হিসাবেই ভিত তৈরি করতে চায় তা-ও না। একটি সূত্র জানায়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ভালো করেই বুঝেছেন সরকার তাদেরকে এবার সংসদে প্রধান বিরোধী দল হিসাবে এখন আর রাখতে চায় না। এনিয়ে সরকারের পাশাপাশি দেশি-বিদেশী অন্য পরিকল্পনায় জাপা বাদ পড়ে যাবে বলে তাদের আশঙ্কা। এক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীর মতো দলকেও প্রাধান্য দিয়ে সরকার নতুন খেলার ছক একেছে, আর সেই ছক মোতাবেক একটি ব্যালান্সড বিরোধী দল সংসদে তৈরি করতে চায়। আর এমন একটি প্রেক্ষাপট তেরিতে জামায়াতে ইসলামীকে সম্প্রতি রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সমাবেশ করতে অনুমতি দেয়। এবং এই অনুমতির ব্যাপারে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী জোড়ালো বক্তব্য দেন।  যদিও দলটির পক্ষ থেকে বলা হয় যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, দলের আমির শফিকুর রহমানসহ রাজনৈতিক নেতা ও আলেমদের মুক্তি এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এ সমাবেশ করছে। কিন্তু রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন ঘটনার মধ্য দিয়ে জাপা ভেবেছে এক্ষেত্রে সরকার যে জাপাকে শুধু সাইড লাইনে বসিয়ে রাখবে তা-ও না। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সন্দেহ এই ভেবে যে সরকার হয়ত এই যাত্রায় জাপাকে আরো কঠিন রাজনৈতিক চাপে রাখবে। যে-ই চাপ এতোদিন জামায়াতের ওপর ছিল। এবং সেখান থেকে সেই চাপ সিফট হয়ে বিএনপি’র ওপর গেছে। আর তারই ধারাবাহিকতায় সেই চাপ যে জিএম কাদেরের জাতীয় পার্টির ওপর দিয়ে পড়বে তা তিনি নিশ্চিত হয়েছেন। সেক্ষেত্রে তাদের পক্ষে এমন চাপ কতটা মোকাবিলা করতে পারবেন সে ব্যাপারে জিএম কাদের সন্দিহান। তাই আগে ভাগে.. 

ভিসা নীতির সুবিধা নিলে জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের যে কেবল এসব বুঝেই একের পর এক হুঙ্কার দিয়েছেন তা কিন্ত না। আমেরিকা থেকে বাংলাদেশের জন্য যে নতুন ভিসানীতি দেয়া হয়েছে তার প্রভাবও জাতীয় পার্টির বেলায় গিয়ে পড়েছে। বলা যায় এর সুফল জাপা নিচ্ছে। জিএম কাদের হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে একদিকে র‌্যাবের ওপর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা অন্য দিকে মার্কিনীদের নয়া ভিসানীতিতে সরকার দারুণ চাপে আছে। তাই এইসেব মোক্ষম সুযোগ নিচ্ছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তা না হলে আমেরকিার এসব পদক্ষেপের আগে তো জাতীয় পার্টির ও তার এই চেয়ারম্যান জিএম কাদের এতোটা হুঙ্কার ছাড়তে দেখেননি কেউ। তাই এমন পরিস্থিতি না হলে জিএম কাদের এতোটা হুঙ্কার মারতে পারতেন কি-না সন্দিহান অনেকে। 

শেষ কথা

দেশী-বিদেশী নানান ধরনের চাপেই সরকার কাহিল। এমন সময় তাদের ঘনিষ্ট মিত্র বলে পরিচিত জিএম কাদেরের জাতীয় পার্টির নানান ধরনের হুঙ্কার সরকারের জন্য বড়োই দুশ্চিতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি সূত্র জানায়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এমন বিদ্রোহী বা অগ্নির্মর্তি অবস্থায় জিএম কাদেরের জাপাকে দেখতে চায় না। প্রয়োজনে দলটিকে এবারে সাইড লাইনে বসিয়ে যাদের সাথে দরকষাকষি করে মেলবে তাদের নিয়ে একটি ভবিষ্যত পরিকল্পনা করবে। সেজন্য জাপাকে একের পর বিভিন্ন ধরনের চাপ দিচ্ছে, যা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের টের পেয়েছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে থেকে লালিত পালিত এবং নানান ধরনের সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করা জাতীয় পার্টি কি সত্যিকারার্থে একটি বিরোধী দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবে? আর আসলেই কি সে লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছে?  না-কি জিএম কাদের আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি এককভাবেই আরো বেশি আসন বাগিয়ে প্রধান বিরোধী দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে দেনদরবারে মাঠে নেমেছে-এমন প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।

শেয়ার করুন