২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৮:৩১:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


অ্যাপার্টমেন্টে দেহব্যবসা, জড়িত রাজনীতিবিদসহ অনেকে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-১১-২০২৩
অ্যাপার্টমেন্টে দেহব্যবসা, জড়িত রাজনীতিবিদসহ অনেকে


দীর্ঘদিন ধরেই এই ব্যবসা চলে আসছে। কিন্তু এবার ধরা পড়েছে। অ্যাপার্টমেন্টকেন্দ্রিক দেহব্যবসা করা একটি চক্রকে শনাক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ। এই চক্রের খদ্দের ছিলেন দেশটির বিভিন্ন স্তরের রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, অধ্যাপক, সেনা কর্মকর্তাসহ আরো অনেকে। অভিযান চালিয়ে চক্রটির তিন সদস্যকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই চক্র ২০২০ সালের জুলাই থেকে কাজ করে আসছিল। তাদের মূল টার্গেট ছিল রাজধানী ওয়াশিংটন ও ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টন এলাকার উচ্চবিত্ত পুরুষেরা। মার্কিন বিচার বিভাগ গত ৮ নভেম্বর বুধবার জানিয়েছে, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, অধ্যাপক, সেনা কর্মকর্তা ছাড়াও চিকিৎসক এবং সরকারি ঠিকাদারেরা ওই চক্রের অন্যতম খদ্দের ছিলেন। এ বিষয়ে ম্যাসাচুসেটসের অ্যাটর্নি জোশুয়া লেভি বলেন, এমন কোনো পেশা পাবেন না, যে পেশার লোকেরা এই চক্রের সেবা নিতেন না। তবে মার্কিন বিচার বিভাগ কোনো খদ্দেরের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি। গ্রেফতার হওয়া তিন ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছে বিচার বিভাগ। জোশুয়া জানিয়েছেন, গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন হান লি, জানমিয়াং লি ও জেমস লি। এই তিনজনের বিরুদ্ধে নারীদের জোর করে, প্রলুব্ধ করে অবৈধ যৌন সম্পর্কে লিপ্ত করার চেষ্টা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের প্রত্যেকের ২০ বছরের কারাদণ্ড হবে। জোশুয়া লেভি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই চক্র ম্যাসাচুসেটসের ক্যামব্রিজ, ওয়াটারটাউন, ওয়াশিংটনের ফেয়ারফ্যাক্স ও ভার্জিনিয়ার টাইসন এলাকার বিভিন্ন অ্যাপার্টমেন্টকে কেন্দ্র করে ব্যবসা পরিচালনা করতো। জোশুয়া বলেন, ‘এই দেহব্যবসায় চক্রটি খুবই গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে বিত্তশালী একদল খদ্দের তৈরি করেছিল।’ তিনি জানান, চক্রটির ব্যবসা প্রতিনিয়ত ফুলে-ফেঁপে উঠছিল। ম্যাসাচুসেটসের এই অ্যাটর্নি আরো দাবি করেছেন, অভিযুক্তরা এশীয় নারীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন পতিতালয়ে যেতে বাধ্য করতেন এবং সেখানে নিয়ে গিয়ে তাদের দেহব্যবসায় নামাতেন। দুটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খদ্দের খোঁজা হতো। সেই ওয়েবসাইট দুটি মূলত এশীয় মডেলদের নগ্ন ছবি প্রকাশের জন্য ব্যবহার করা হতো। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন