২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৫:২৯:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


জাতীয় পার্টির ভূমিকায় সন্দেহ আওয়ামী লীগের
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-১১-২০২৩
জাতীয় পার্টির ভূমিকায় সন্দেহ আওয়ামী লীগের


অংশগ্রহণের কথা বললেও আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) ভূমিকা কী হবে তা-নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে দলটি সটকে পড়তে পারে কি-না সে ব্যাপারে তীক্ষ্ণ নজর রাখা হচ্ছে। কেননা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড মনে করে জাতীয় পার্টি আসলে দ্বিমুখী আচরণে আছে। সময়-সুযোগমতো দলটি বিগড়ে যেতে পারে, যা তাদের জন্য ভয়াবহ বিপদের সৃষ্টি করবে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। 

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি। কারা কারা এতে অংশ নিচ্ছে তা মোটামুটি ধারণা পাওয়া গেছে। তবে এই নির্বাচনে জাপা’র অংশগ্রহণ নিয়ে শুরু হয়েছে নানান ধরনের জল্পনা কল্পনা। তবে দলটি প্রকাশ্যে এসে ঘোষণায় বলেছে মহাজোটে নয়, এবার এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে জাতীয় পার্টি।

আর কি কি বলেছে বা বলে যাচ্ছে জাপা

সোমবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিক্রির কার্যক্রম শুরুর প্রথমদিনে সময় গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে জানান, দলটির মহাসচিব বলেন, নির্বাচনে যাওয়ার প্রাথমিক কাজ শুরু করেছি। প্রক্রিয়া শুরু করলেও নির্বাচনে যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয় এটি। নির্বাচনী আস্থা এখনও আসেনি। খুব শিগগিরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। মহাজোটে নয়, এবার এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে জাতীয় পার্টি। এটা হচ্ছে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য। আর সে হিসাবে দলটি মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে। 

নির্বাচন নিয়ে জাপার ভেতরে উত্তাপ

আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) ভূমিকা কী হবে তা নির্ধারণে সম্প্রতি দলের কেন্দ্রীয় কমিটি এবং জেলা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয় যে, এতে বক্তৃতা করা ৫৯ নেতার দুইজন বাদে বাকিরা আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে বর্জনের পক্ষে বলেন। বৈঠকের আগের দিন পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘যদি সংলাপ না করা হয়, তাহলে সরকারের উপর নিশ্চিতভাবে বড় ধরনের স্যাংশন আসতে পারে। সম্প্রতি শর্তমুক্ত সংলাপের তাগিদ দিয়ে চিঠি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। চাওয়া পূরণ না হলে চিঠিতে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জি এম কাদের।

যৌথসভায় রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বা বিএনপিবিহীন নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিপক্ষে মতামত দেন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করা যায় না। আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে অপমান অপদস্থ করছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাপার সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম সরকারি দলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি সম্মান পায় না। দলের এমপিরা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের জন্য কাজ করতে পারে না। একই বক্তব্য দিয়ে আওয়ামী লীগের জোটে না যেতে এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে তা বর্জনের দাবি জানান সিরাজগঞ্জ জেলার সভাপতি আমিনুল ইসলাম ঝন্টু। অন্যদিকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাপার সভাপতি নুরুছ ছফা সরকার বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ না হলে, সেই ভোটে অংশ নিলে জাতীয় পার্টি দালাল হিসেবে চিহ্নিত হবে। কেউ কেউ ‘বুঝে-শুনে সিদ্ধান্ত নিতে পরামর্শ দেন। বলেন বর্তমানে জনমত সরকারের বিরুদ্ধে। যৌথসভা প্রসঙ্গে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচন নিয়ে দলের নেতাদের মতামত শোনা হয়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জি এম কাদেরকে। তবে বৈঠকের একটি সূত্র জানান জেলা পর্যায়ের নেতারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। জি এম কাদের বলেন, ‘আপনাদের বেশিরভাগই বলেছেন জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগ অন্যায় করেছে। সম্মান, মর্যাদা দেয়নি। তার মানে বলতে চাইছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে যাওয়া ঠিক হবে না।’ তখন উপস্থিত নেতারা জি! জি! বলে ধ্বনি দেন। এসবময় জি এম কাদের বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, সব বড় রাজনৈতিক দল খাদের কিনারায় রয়েছে। একটু বেহিসেবি পদক্ষেপ নিলে, আমাদের গভীর খাদে পড়তে হবে। আওয়ামী লীগও যদি কোনোক্রমে পিছলে যায় ক্ষমতা থেকে, বহুদিন ধরে মাশুল দিতে হবে। বিএনপি নিজেদের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করতে না পারলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। জাতীয় পার্টি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে, দল হিসেবে অনেক উপরে উঠে যাবে। ভুল করলে অস্তিত্ব সংকট হতে পারে।

স্যাংশনের আশঙ্কা জানিয়ে জি এম কাদের বঙ্গভবনে 

গত সপ্তাহের ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবারে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের এমপি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, এই মুহূর্তে নির্বাচনে গেলে স্যাংশন আসার আশঙ্কা রয়েছে। এমন মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে যাওয়ার এখনো পরিবেশ তৈরি হয়নি। এ সময় জিএম কাদের আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের চিঠি এসেছে আমাদের কাছে। এই চিঠির গুরুত্ব অনেক। এটা যুক্তরাষ্ট্রের অফিসিয়াল চিঠি। তারা সংলাপ চাচ্ছেন। আমরাও সংলাপের কথা বলে আসছি। সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছে জাতীয় পার্টি। দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের নেতৃত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় পার্টির বনানীর চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত মূলত তাদের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ডোনাল্ড লু লিখিত একটা চিঠি নিয়ে এসেছেন। তিনি চিঠিটা আমাদের পার্টির চেয়ারম্যানকে হস্তান্তর করেছেন। এদিকে ভোটে গেলে স্যাংশন আসতে পারে এমন কথা বলে জি এম কাদের হঠাৎ চলে গেলেন বঙ্গভবনে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি গণমাধ্যমে বলেছেন, সংলাপের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তিনি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অনুরোধ করেছেন। বাংলাদেশের বড় তিনটি রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়ে পূর্বশর্ত ছাড়া সংলাপে বসার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র দেওয়া চিঠির প্রেক্ষিতে তিনি রাষ্ট্রপতিকে এ অনুরোধ করেন বলে জানা গেছে।

যে কারণে জাপাকে সন্দেহ

প্রশ্ন হচ্ছে রাজনৈতিক সঙ্কট যখন চরমে ঠিক তখনই ভারত ডেকে নিয়েছিল বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপিকে। গত আগস্টে চার দিনের ভারত সফর করেন তিনি। সফর শেষে ঢাকায় ফিরে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘বাংলাদেশে সময়মতো একটি সুন্দর নির্বাচন চায় ভারত। এবং তারা চায়, নির্বাচনের আগে এবং পরে বাংলাদেশে যাতে কোনো ক্রমেই সহিংসতা, অরাজকতা না হয়। আবার ঠিক তফসিল ঘোষণার আগে যখন নানান ধরনের গুঞ্জন চলছে রাজনীতিতে তখনই ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছে জাতীয় পার্টি। দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের নেতৃত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যদিও বলা হয়েছে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মূলত তাদের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ডোনাল্ড লু লিখিত একটা চিঠি নিয়ে এসেছেন। তিনি চিঠিটা আমাদের পার্টির চেয়ারম্যানকে হস্তান্তর করেছেন। কিন্তু এই বৈঠকের ব্যপারে জাপা’র একজন সিনিয়র নেতা দেশ প্রতিনিধিকে জানান ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছে জাতীয় পাটির বৈঠকটি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের ৪০ মিনিটি অবস্থা কালে পুরোটাই এর আগে হয়ে যাওয়া ভারতের সাথে আমেরিকার টু প্লাস টু বৈঠকের প্রসঙ্গও আসে। কেননা সে বৈঠকের খবরে বলা হয় যে, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারত তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে। ভারত আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদেশ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের ‘টু-প্লাস-টু’ বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে বিস্তরিত আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের বিদেশ সচিব ভিনয় কোয়াত্রা। তিনি বলেছেন যে, একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশকে সেদেশের মানুষ যেভাবে দেখতে চায়, সেই ‘ভিশন’কে ভারত কঠোরভাবে সমর্থন করে। তিনি এটাও বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন সেদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং সেদেশের মানুষই তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। এনিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গণে তোলপাড় চলে। বিষয়টি বাংলাদেশে বর্তমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে গেছে বলে ধরে নেয়া হয়। আর এজন্য ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে ওই বৈঠকে জাতীয় পার্টির নেতারা তাকে (পিটার হাসকে) ‘টু-প্লাস-টু’ বৈঠকের ব্যাপারে সরাসরি জানতে চান। বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নাকি এসময় জাপা নেতাদের স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু আবাধ ও অংশগ্রহণমূলক না হলে তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। এবং এর জন্য যা যা করা দরকার তা-ই করা হবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে-এমনটাই জাপা নেতাদের সাথে একান্তে কথা বলে জানা গেছে। আর একারণে জি এম কাদের আশঙ্কা প্রকাশ করে একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘যদি নির্বাচনে যাই, আর পরবর্তীতে যদি সরকার সমস্যায় পড়ে, তাহলে আমাদের কী হবে? এই কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি এ-ও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের যে চিঠি পিটার হাসের মাধ্যমে এসেছে তার গুরুত্ব অনেক। সর্তক বাতা দিয়ে বলেছেন, এটা যুক্তরাষ্ট্রের অফিসিয়াল চিঠি। এসব কারণে প্রশ্ন ও সন্দেহ দেখা দিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধ্যে। কেনো ভারত ও আমেরিকার কাছে সম্প্রতি জাপা’র অতি গুরুত্ব পাচ্ছে? জানা গেছে এসবকে আওয়ামী লীগ মোটেই ভালো চোখে দেখছে না। আর একারণে সন্দেহ ভারত ও আমেরিকার কাছে অতি গুরুত্ব পাওয়া জাতীয় পার্টির আসলেই কোন দিকে যাবে? শেষ মেষ কি আওয়ামী লীগকে ফেলে চলে যাবে? তা না হলে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু করেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যাবে কিনা সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট করছে না কেনো জাপা? কেনো দলটির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করলেও তা নির্বাচনে যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন। কেনো বলছেন, আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আছি। কেনো তফসিল ঘোষণার পরেও বলছেন আমরা একটা পরিবেশ আশা করেছিলাম যে, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, সেই আস্থা এখনো পুরোপুরি আসেনি? আবার একথা কেনো বলছেন, আমরা নির্বাচনের প্রক্রিয়া আরম্ভ করেছি, কিন্তু এটাই আমাদের নির্বাচনে যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। কেনো জানালেন পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের আগামী ৩০ নভেম্বরের আগে নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন? তাহলে জাপা কিসের জন্য কার আশায় কেনো এতো লম্বা সময় অপেক্ষা করছে? ঝুলিয়ে রাখাছে সিদ্ধান্ত? এসব অনেক বিষয় রহস্য ঠেকছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছে।

শেয়ার করুন