২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ১০:৫৯:৫০ পূর্বাহ্ন


দুর্ঘটনা ঘটে দুর্ঘটনা ভূলে যাই
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৬-২০২২
দুর্ঘটনা ঘটে দুর্ঘটনা ভূলে যাই রানা প্লাজা ধ্বসের সেই বিভীষিকাময় চিত্র/ফাইল ছবি


বাংলাদেশে আগুন লেগে একসঙ্গে অনেক মানুষের মৃত্যুর ঘটনা- এটা যেন এখন গা সওয়া হয়ে গেছে! একটা হৃদয়বিদারক,মর্মস্পর্শী ঘটনার রেশ শেষ হতে না হতেই আরেকটি। এ যেন এখন নিত্যঘটনা। মানুষ এখন আতঙ্কগ্রস্ত। এ ঘটনার পর, আবার না যেন কোথায় কী হয়ে বসে। সেটা যে ঠিক কোথায় হবে সেটা কেউ ঠাহর করার কথাও না। কিন্তু ঘটবে এটা বাস্তব। অতীতের রেফারেন্সগুলো তাই বলে। এতেই সারাদেশের মানুষই আতঙ্কগ্রস্ত। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ,চট্টগ্রাম কিংবা শহর বা বাণিজ্যিককেন্দ্রিক স্থানগুলোতে। 

একেকটা ঘটনা একেক ধরনের। কোনোটির সঙ্গে কোনোটার মিল খুঁজে পাওয়া যাবেনা। এ যেন প্রতিটা সেক্টরেই নিরাপত্তাহীনতা। প্রতিটা সেক্টরের এসকল বিষয়ে দেখভালের কমবেশি লোকজন লালনপালন করছেন সরকার। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর মনে হবে ওই সকল লোকগুলো শুধু শুধুই বেকার সময় নষ্ট করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থের তছরুপ করে যাচ্ছেন। এ এক অদ্ভত ব্যাপার-স্যাপার। শুধু এখানেই শেষ নয়। গত এক যুগ ধরে যতসব ঘটনা ঘটেছে তার কোনোটাই বা সঠিক তদন্তের মুখ দেখেনি। দোষীজন শাস্তি পায়নি? দুর্ঘটনা ঘটে দুর্ঘটনা ভূলে যাই |  


হাশেম ফুড ফ্যাক্টরীতে অগ্নি,পুড়ে আঙার মানুষ/ফাইল ছবি 


ফলে দিন শেষে ‘কেষ্টা বেটাই চোর’। ঘটনা যাই হোক না কেন, দিনশেষে সব দোষবিরোধী মতের লোক বা দলের ওপর চাপানোর প্রাণান্ত এক চেষ্টা। এ ঘটনার পরও সে আওয়াজ ওঠা শুরু। বিভিন্ন মহল থেকে বক্তব্য ওঠে, দেশের উন্নয়ন সহ্য না করতে পেরে একদল নাশকতায় শামিল হয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তাদেরই এসকল কাজ। কিন্তু ওই পর্যন্তই। এতে আসল অপরাধী পার করে দেয়া যায় নির্বিঘ্নে। জনগণের অর্থ খরচা করে যাদের লালন হচ্ছে তাদের যোগ্যতার মাপকাটি নিয়েও এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গলদটা তাহলে কোথায়? কুমিল্লার ঘটনা মনে আছে নিশ্চয়ই। পূজা আর্চনা শেষ। পূজায় টানা আটদিন ব্যস্ত থাকার পর শেষের কাজকর্ম সেরে যখন বিশ্রামে হিন্দুধর্মাম্বলম্বীরা। তখন কুমিল্লা শহরে মন্দিরে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখা নিয়ে দেশের অনেকস্থানে তোলপাড় হয়। সে ঘটনার দায়ও চাপানো হয়েছিল।

সীতাকুণ্ড ঘটনায়ও শুরু হয়ে গেছে সেই পুরোনো কথা। তথ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে বলেই দিয়েছেন এ জাতীয় কথা। তিনি ৬ জুনচট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘পদ্মাসেতুর উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণার পর দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা হচ্ছে। কোনো কোনো জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়েছে। সেটির ধারাবাহিকতায় দেশবাসীর দৃষ্টি অন্যদিকে নিয়ে যেতে সীতাকুণ্ডের দুর্ঘটনায় কোনো নাশকতা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার।’ একই সময় তিনি আরো বলেন,‘কোনো কোনো টেলিভিশন এবং পত্রিকায় রিপোর্ট করা হয়েছে, এ কনটেইনার ডিপোটি একজন আওয়ামী লীগ নেতার। আমি খোঁজ-খবর নিলাম, আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমানের এ ডিপোতে মালিকানা মাত্র ৫ শতাংশ। ৯৫ শতাংশের কথা না বলে ৫ শতাংশের মালিককে পুরো ডিপোর মালিক দেখিয়ে যারা কাজটি করেছেন, এটিকে আওয়ামী লীগ নেতার ডিপো বানানোর যারা চেষ্টা করেছেন, সেই সাংবাদিকতা সঠিক হয়নি, অপসাংবাদিকতা হয়েছে।’ 

তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ৬ জুন সীতাকুণ্ড ডিপোতে আহতদের দেখতে এসে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন,‘আমরা কোনো অপরাধকে দায়মুক্ত করিনি। যে অপরাধ করেছে, তার আইনুসারে বিচার হবে। এখানে যে ঘটনা ঘটেছে তার বিচার হবে তদন্ত হচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন,‘এখানে কারো অবহেলা থাকলে দায় থাকলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। সে যতবড় শক্তিশালীই হোক না কেন। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’ 

উল্লেখ্য, এ ঘটনায় ৬ জুনপর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। ওই সময় পর্যন্ত কাউকে আটকও করেনি পুলিশ। অথচ নিউমার্কেটের ঘটনায় সরাসরি কারা জড়িত সেটা জানার পরও তাদের আটকে চলে গড়িমসি। সে ঘটনার সূচনায় কাদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করে এবং কাদের মুহূর্তেই আটক করেছিল সেটা এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাবার নয়।   

তবে দুর্ঘটনা, নাশকতা যে যাই বলুক না কেন সেটা কিন্তু অব্যাহতভাবেই চলছে। খুব কী বেশিদিন আগের কথা। রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াতকারী অভিযান-১০ নামের ওই লঞ্চের ইঞ্জিনরুম থেকে আগুন লেগে মাঝরাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নাদীতে পুড়ে ছাই হলো লঞ্চ। যা দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন এক অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী হয় ওই সুগন্ধা নদী। চলন্ত লঞ্চে পুড়ে অঙ্গার হল ত্রিশের অধিক প্রাণ। ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিন রুম থেকেই গভীর রাতে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। কিন্তু এক্সপার্টরা ইঞ্জিনরুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ার কোনো ক্লু পাননি।

তারা সন্দেহ করেছে চায়ের দোকানের গ্যাসের চুলা। গোটা দক্ষিণাঞ্চল শোকে মুহ্যমান ছিল সেদিনও। গত বছরের ডিসেম্বরের ঘটনা। খুব বেশিদিন হয়েছে। এরপর পরই অর্থাৎ পাঁচ মাসের ব্যাধানে সীতাকুুণ্ডের এ ঘটনা।সুগন্ধার আগে অর্থাৎ ২০২১ সনে ওইরকম আগুনে পুড়ে যাবার ঘটনা অরো রয়েছে। ওই বছরের ২৭ জুন সন্ধ্যার পর মগবাজারের অয়ারলেস এলাকায় একটি তিনতলা ভবনের নিচতলায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন দুই শতাধিক। বিস্ফোরণের সময় বিকট শব্দে আশপাশের অন্তত সাতটি ভবনের কাচ উড়ে যায়। রাস্তায় থাকা তিনটি বাসের কাচ ভেঙে যায়। 


তাজরীন ফ্যাশন,পুড়ে আঙার/ফাইল ছবি 

২০২১ এর জুলাই নারায়নগঞ্চের একটি (হাশেম ফুডস) জুস কারখানায় কেমিক্যালের আগুনে পুরে ৫২ জন নিহত হয়েছেন। যাদের অনেকের লাশ পুড়ে অঙ্গার হওয়ায় লাশখুঁজে পাওয়া বা চিহ্নিত করা মুশকিল হয়ে গিয়েছিল। মূল সমস্যা ছিল আগুন লাগার পরপরই নিচের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়া। মানুষ বের হতে না পারায় অতগুলো তাজাপ্রাণ ঝড়ে যায়। সুগন্ধা লঞ্চও আগুন লাগার সময় তীরেই ছিল। পরে সেটা মাঝ নদীতে কীভাবে চলে যায় তার বর্ণনা পাওয়া যায়নি। 

ওই বছরের মার্চে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লেগে বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গাদের আবাসস্থল পুরে ছাই। মানুষ মারা যায় তাতে ১৫ জন। আহত তো সে সঙ্গে অনেক প্রতিটা ঘটনাতেই। এছাড়াও বনানীর চেয়ারম্যানবাড়িতে একটি ছয়তলা ভবনে আগুন ও বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিউনিউতে বহুতল ভবনের অগ্নিকাণ্ডে।এর আগে ২০২০ সনের সেপ্টেম্বরে নারায়নগঞ্জের এক মসজিদের নিচ দিয়ে তিতাস গ্যাসের যাওয়া লাইন ব্লাস্ট হয়। ওই ঘটনায় নিহত হন ১৭ জন ও আহত হয় বেশ কিছু মুসল্লি। নামাজ যখন প্রায় শেষের দিকে তখন মারাত্মক দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা গেছে মসজিদের ভেতরে বুদবুদ উঠছিল বেশ কিছুদিন থেকেই।

এরপরও সেখানে এসি চালিয়ে নামজ পড়তেন এলাকার মানুষ। ফলে এসি ব্লাস্ট হয়। এছাড়াও ২০২০-এর ফ্যান ফ্যাক্টরিতে ও চট্টগ্রামে গ্যাসের লাইন বিস্ফোরণ এমন ঘটনা ও সাত, ১০ জনের মৃত্যুর ঘটনা রয়েছে। এর আগে ভয়াবহ আরেকটি দুর্ঘটনা ছিল পুরান টাউনের চুড়িহাট্টায়। ২০১৯ এর ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টার আগুন কেড়ে নেয় ৭১ জনের প্রাণ। সেই শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই ২৯ মার্চ ২০১৯-এ রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউতে আকাশচুম্বী ফারুক রূপায়ণ (এফ আর) টাওয়ারে আগুন কেড়ে নিল এক বিদেশি নাগরিকসহ ১৯ জনের জীবন। 

তবে এগুলো তুলনামুলক ছোটখাটোই। এর চেয়ে ভয়াবহ যে ঘটনা আজো মানুষকে তাড়িয়ে বেড়ায় সেগুলোর মধ্যে নিমতলী, তাজরীন ফ্যাশনসহ বিগত ১২ বছরে অন্তত ১০টি বড় দুর্ঘটনা রয়েছে ঢাকার আশপাশ সাভার, গাজীপুরে।  

ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, গত ১০ বছরে বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১০ সালে, পুরান ঢাকার নিমতলীতে। এতে ১২৪ জন নিহত হন। এর পরের বছর সাভারের আশুলিয়ায় তাজরীন ফ্যাশনসের অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ১১১ জন। আর ২০১৬ সালে টঙ্গীর টাম্পাকো ফয়েলস কারখানার অগ্নিকাণ্ডে মারা যান ৪১ জন। ২০১০ সালের ১৪ ডিসেম্বর, নিহত ২৯ জন, সেটা দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যার, আশুলিয়াতে।  গাজীপুরের গরিব অ্যান্ড গরিব গার্মেন্টস এ দুর্ঘটনা ঘটে ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারিতে। তাতে নিহত ২১।  

শুধু গ্যাস বিস্ফোরণই নয়। রয়েছে বৈদ্যুতিক ত্রুটি থেকেও অনেক দুর্ঘটনা। এমন  ঘটনার অন্ত নেই।  ছোট্ট এক পরিসংখ্যানে ২০০৬ থেকে ২০২০ সন পর্যন্ত দেখা গেছে এ ১৫ বছরে অগ্নি ও অন্যান্য দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৩১৭ জনের। আহত হয়েছেন ১২ হাজার ৩৭৪ জন। 

২০০৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে ফায়ার সার্ভিসের এক পরিসংখ্যান থেকে পাওয়া গেছে হতাহতের এ হিসাব। এরমধ্যে ২০২০ সালে অগ্নি-দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১৫৪ জন। আহত হয়েছেন ৩৮৬ জন। তার আগের বছর ২০১৯ সালে নিহত হয়েছেন ১৮৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৫৭১ জন। মূলত বিভিন্ন কারখানা, অফিসের বহুতল ভবন, বাসাবাড়ি, দোকানপাট, মহাসড়কের গাড়িতে লাগা আগুনে এই বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিসের তদন্তে উঠে এসেছে। বিদ্যুতের শর্টসার্কিট, গ্যাসলাইনের ত্রুটি, গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনা (সিএনজি), রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার থেকে ঘটা দুর্ঘটনাসহ (এলপিজি) নানা কারণে এসব অগ্নি-দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

সর্বশেষ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের মর্মান্তিক আরেক এ ঘটনা। ওই অঞ্চলের কেশবপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আমদানি-রফতানিতে ব্যবহৃত কনটেইনারের ব্যবস্থাপনা ও খালি কনটেইনারের সংরক্ষণ করা হয়। ২০১১ সালে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের দুটি প্রতিষ্ঠানের ১৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগে চালু হয়েছিল এটা। ডিপোর মালিকদের একজন আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার নেতা। 

এতে গত ৪ জুন রাত ১০ টার দিকে এই ডিপোতে আগুন লাগে। সেই আগুন ছড়িয়ে রাসায়নিক থাকা কনটেইনার বিস্ফোরণে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। এতে সর্বশেষ খবর অনুসারে ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক মানুষ। আগুন নেভানো ও উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের পাশাপাশি অংশ নেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।

জানা গেছে, সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে হতাহতদের পরিবারের দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা ডিপোর মালিকপক্ষের যৌথ বিনিয়োগের এই ডিপোতে বাংলাদেশের স্মার্ট গ্রুপের অংশীদারি রয়েছে। যে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড নামের রাসায়নিক পদার্থ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, সেটিও স্মার্ট গ্রুপের আরেক প্রতিষ্ঠান আল রাজী কেমিক্যাল কমপ্লেক্সের। 

এই ডিপোতে ওইদিন রাতে কত কনটেইনার ছিল, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে গড়ে আমদানি-রফতানি পণ্যবাহী দেড় হাজার বেশি কনটেইনার থাকার তথ্য মিলেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের লোড কমাতে বেসরকারী মালিকানায় ১৯টি ডিপো পণ্য আমদানি-রফতানি কাজে ব্যবহারিত হয়। আর বন্দর দিয়ে আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনারের মধ্যে গড়ে ২৩ শতাংশ খালাস হয় এসব ডিপো থেকে। আমদানি-রফতানি পণ্যবাহী কনটেইনার ছাড়াও খালি কনটেইনারও সংরক্ষণ করে বেসরকারি ডিপোগুলো। 

দুর্ঘটনার পর দুর্ঘটনা। কিন্তু প্রতিকারের কোনো ব্যবস্থা নেই। ঘটনার কিছুদিন পর মিলিয়ে যায় সব। এতে অপরাধমূলক কাজ করতে সংকোচবোধও নেই। চলছে এভাবেই সব।


শেয়ার করুন