২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৪:০১:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


মার্কিন ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট
নির্বাহী বিভাগ থেকে ইমিগ্রেশন কোর্ট পৃথক করার বিল হাউজে প্রেরণ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৫-২০২২
নির্বাহী বিভাগ থেকে ইমিগ্রেশন কোর্ট পৃথক করার বিল হাউজে প্রেরণ


হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটিতে ইমিগ্রেশন কোর্টকে বিচার বিভাগ থেকে পৃথক করার জন্য একটি বিল পাস করে তা পূর্ণাঙ্গ হাউজে পেশের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিটি ২৪-১২ ভোটে গত বুধবার এই বিল পাস করে- যাতে নির্বাহী শাখা থেকে ইমিগ্রেশন কোর্টকে স্বাধীন করা যায়। পার্টি লাইনেই ভোট হয়। বিলটি হচ্ছে রিয়েল কোর্ট রুল অব ল’ অ্যাক্ট। 

বিলটি যারা সমর্থন করেছেন, তাদের মতে ইমিগ্রেশন কোর্টকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করা হলে তা হবে বৃহত্তর সঙ্গতিপূর্ণ ব্যবস্থা। যখন প্রেসিডেন্ট এবং তাদের নীতি পরিবর্তন হয়, তখন ইমিগ্রেশন আইনও পরিবর্তন হয়। আর এ জন্য স্বাধীন ইমিগ্রেশন কোর্ট বৃহত্তর স্থিতিশীল ব্যবস্থা সৃষ্টি করবে। 

ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্রেট প্রতিনিধি জো লকগ্রেন, যিনি ইমিগ্রেশন ও সিটিজেনশিপ-বিষয়ক সাব-কমিটির চেয়ারম্যান, তিনিই এই বিল রচনা করেন। তিনি মনে করেন, এ বিল পাস হলে তাতে ইমিগ্রেশন কোর্টের ওপর রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক প্রভাব কমে যাবে। এখন এই প্রভাবের কারণে ইমিগ্রেশন কোর্টের ওপর বিশ্বাস কমে যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের আর্টিকেল-১ এর ব্যবস্থাধীনে প্রণীত যুক্তরাষ্ট্রের ট্যাক্স কোর্টের মতো এই ইমিগ্রেশন কোর্ট কাজ করবে। একইসঙ্গে ইমিগ্রেশন কোর্টে ট্রায়াল কোর্ট ও আপিল কোর্ট এবং উভয় কোর্ট দেখাশোনার জন্য একটি প্রশাসনিক লেভেল থাকবে। বর্তমানে দেখা যায়, মামলা অনুমোদন ও প্রত্যাখ্যানে ব্যাপক বৈষম্য। এটা অনেকটা কোন ডিস্ট্রিক্টে শুনানি হচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করে। এই আইনে ইমিগ্রেশন আইনের অধিকতর সুষ্ঠু প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে।

বিলে নতুন ব্যবহার প্রস্তাব করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইমিগ্রেশন কোর্ট জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের কোর্টের দ্বারা বর্তমানে ব্যবস্থাপনাকৃত কাজ ও প্রসিডিং হস্তগত করবে। প্রস্তাবিত কোর্ট সিস্টেম সফিনা ইস্যু করার ক্ষমতা থাকবে। কোর্ট অমান্য করলে পেনাল্টি নিতে পারবে এবং নির্বাহী শাখা কর্তৃক দ্রুত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারবে। কত কোর্ট থাকবে তা এখনো দেখার বিষয়। তা নির্ধারিত হবে একটি জরিপ জনগণের কমেন্টের জন্য দেয়ার পর।

আপিল কোর্ট বোর্ড অব ইমিগ্রেশন আপিলকে প্রতিস্থাপিত করবে। এই আপিল কোর্টে ২১ জন বিচারক থাকবে। তারা তিনজন জাজের প্যানেল করে কাজ করবে। বিশেষ কাজে ২১ জন জাজের সকলেই এক গ্রুপ হয়ে কাজ করবে। যুক্তরাষ্ট্র সার্কিট কোর্ট আপিল কোর্টের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করে রায় দেবে। অস্থায়ী কোর্টেরও বিধান রাখা হয়েছে এতে। এই কোর্ট ওয়ার্ক লোড বাড়লে তা নিয়ে কাজ করবে। তারা পূর্বেকার ও প্রচলিত বিষয়ে কংগ্রেস কমিটির কাছে রিপোর্ট করবে। 

প্রস্তাবিত আইন বিচারে অধিকতর সুযোগ সৃষ্টির জন্য করা হয়েছে। প্রস্তাবে একটি লিগ্যাল প্রশিক্ষণের কথা বলা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণে ইমিগ্রেশন কোর্ট প্রসিডিংয়ের দোভাষীদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তাছাড়া এই আইনে অ্যাটর্নির সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে সরকার এই অ্যাটর্নির ব্যয় নির্বাহ করবে না। 

বর্তমানে ১৮ লাখ ইমিগ্রেশন মামলা অপেক্ষমাণ। এ কারণে ইমিগ্রেশন কোর্ট সংস্কার জরুরি। এই বিল যারা সমর্থন করে না তারা বলছেন, এই ব্যবস্থা ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাকে আরো দুর্বল করবে।


শেয়ার করুন