২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০২:৫০:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


কুসিক নির্বাচনে বিএনপির ‘না’ অস্বস্থিতে সরকার
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৬-২০২২
কুসিক নির্বাচনে বিএনপির   ‘না’ অস্বস্থিতে সরকার


কুমিল্লা সিটি কপোরেশন নির্বাচনেও বিএনপি অংশ না নেয়ায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার বেকায়দায় পড়েছে। অন্যদিকে নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জন্য বিব্রতকর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপির মতো দলকে এ নির্বাচনে আনতে ব্যর্থতায় মাঠে ভিন্ন ধরনের প্রভাব ফেলবে। আর একারণে সরকারের ভেতরে বাইরে এনিয়ে অস্বস্তি আছে,রয়েছে উদ্বেগ,উৎকন্ঠা।

বিএনপির সিদ্ধান্ত ও কঠোর পদক্ষেপ

আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিততব্য এ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনের মোট ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২ জন। কুমিল্লাা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে এখন পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের আরফানুল হক। তিনি কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও  কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিনের অনুসারী হিসাবেই পরিচিতি বেশি। 

অন্যদিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদ থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান ইমরান। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে অন্য প্রার্থীরা হলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. রাশেদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল হক সাক্কু, কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ওরফে কায়সার এবং কুমিল্লা নাগরিক ফোরামের সভাপতি কামরুল হাসান বাবুল। এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ার ব্যাপারে অতীতের চেয়ে বেশি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু বিএনপির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দলের দু-জন নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।

 এজন্য আজীবনের জন্য বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক ওরফে সাক্কু। তিনি ছিলেন কুমিল্ল¬া দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। বর্তমানে তিনি কুমিল্ল¬া সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন।  তাঁর সঙ্গে কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক নিজাম উদ্দীন ওরফে কায়সারও প্রার্থী হয়েছেন। অন্যদিকে নিজাম উদ্দীনকেও প্রাথমিক সদস্যপদসহ সংগঠনের সব পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে স্বেচ্ছাসেবক দল। 

একই সঙ্গে কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি মনির হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিকে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রচারণায় অংশ না নেওয়ার জন্য বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে। দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি বেগম রাবেয়া চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আমিন উর রশিদ ইয়াছিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়ে দেয়া হয়। 

কুমিল্লা সিটি নির্বাচন নিয়ে শুরুতেই প্রশ্ন ও অঘটন

নির্বাচন শুরু হতে অনেক দেরি আছে। আর সরকারের পক্ষ থেকে প্রচার করা হচ্ছে যে তারা নির্বাচনে কোনো ধরনেরই হস্তক্ষেপে যাবে না। কিন্তু শুরুতেই হোচেট খেতে হচ্ছে বিরোধী প্রার্থীদের। দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এরা নির্বাচনে নিয়ে তাদের দু’কুল হারানো মতো অবস্থা হয়েছে, পড়েছেন বিপাকে। কন্ঠে ভেসে আসছে হতাশার বিউগল।

কেননা নির্বাচন প্রচারণার শুরুতই নগরের বিভিন্ন স্থানে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী মনিরুল হকের টাঙানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। কোথাও কোথাও সুতলি কেটে পোস্টার স্তুপ করে রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মনিরুল হক। তিনি নগরের নানুয়াদিঘির পাড়ে নিজ বাসায় গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে বিভিন্ন অভিযোগ আনেন।

যদিও আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় আজ সকালে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হক ওরফে রিফাতকে ১০ হাজার টাকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ওরফে কায়সারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তারপরেও চাপা ক্ষোভ অনেক প্রার্থীর,কিন্তু অজানা কারণে তারা মুখ ফুটে কিছু বলছেন না। কারণ কাদের পাশ্বে সরাসরি দল নেই। যদিও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন ব্যর্থ হলে দায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারের (এসপি)। 

আর সফল হলে প্রশংসা তাঁদের। তাই নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণভাবে দেখতে হবে। তবুও কুসিক নির্বাচনে মেয়র পদে বিরোধী প্রার্থীরা আশ্বস্ত হতে পারছে না। কারো কারো মতে, এটা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের লোক দেখানো বক্তব্য। তিনি কৌশলে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণের ব্যাপারে সরকারের অবস্থানের পক্ষের পাশাপাশি আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে ইসির নিরপেক্ষতার ইমেজ বাড়াতে এমন বক্তব্য দিচ্ছেন বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন। 

রাতের বেলায় ভোট চাই না বলতেই মারমুখী অচরণ

আসন্ন নির্বাচন যে কতটা নিরপেক্ষ সুষ্ঠু হবে তা নিয়ে শুরুতেই নানান ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। কেননা নির্বাচন উপলক্ষে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের মতবিনিময় সভাতেই হট্টগোল হয়েছে। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বক্তব্য দেওয়ায় তাঁকে বাধা দেন আওয়ামী লীগ দলীয় কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী। 

পরে অবশ্য জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকউল্লাহ খোকনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। যদিও জেলা প্রশাসককে এসময় বেশি অতীত ঘাটাঘাটি না করার পরামর্শ দেয়াতেও তার নিরপেক্ষতার পাশাপাশি ভূমিকা নিয়েও রহস্যের সৃষ্টি হয়। কেননা তিনি বলেছেন, আগের নির্বাচনে কী হয়েছিল, সেটি নিয়ে বলবেন না। এই নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। আর এসময় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল মঞ্চে বসে ওই হট্টগোল দেখলেও  বলেননি কিছু দক্ষ ও বিচক্ষণ এই আমলা। প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণে জানা গেছে, প্রধান অতিথি সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের উপস্থিতিতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় প্রার্থীদের বিভিন্ন অভিযোগ ও প্রত্যাশার কথা শোনেন তিনি।

 সভায় মেয়র প্রার্থীরা একে একে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘দল ত্যাগ করে প্রার্থী হয়েছি। ভোটের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা আছে। ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে শঙ্কিত। আমরা বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো রাতের বেলায় ভোট চাই না। নিজাম এ বক্তব্য দেওয়ার পরপরই ২ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থী মাসুদুর রহমান, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সরকার মাহমুদ জাভেদ, মো. মুরাদসহ আওয়ামী লীগের ১০-১৫ নেতা-কর্মী উত্তেজিত হয়ে মারমুখি আচরণ শুরু করে। তাঁরা নিজামের বক্তব্যে বাধা দিতে তেড়ে আসে। আর এসব ঘটনায় অনেকের মনে সন্দেহই দানা বাধছে কমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন আদৌ নিরপেক্ষ হবে?

শেষ কথা

কুমিল্লা সিটি নির্বাচন নিয়ে সরকার যতোই নিরপেক্ষতার হাকডাক দেখাক না কেনো দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অংশ না নেয়ায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার এতে ইমেজ সঙ্কটেই থাকবে। আর তার মধ্যে নির্বাচন নিয়ে এখনই সরকারের ভেতরে ও বাইরে থাকা প্রার্থীরা যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন আর দিতে গিয়েই যে বিপত্তি হচ্ছে তাতেই সরকার বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন। 

এরই মধ্যে চট্টগ্রামের এক প্রার্থীর ভাইরাল বক্তব্য এসময় সব্বাইকে নাড়া দিয়েছে। কারণ ঔ প্রার্থী বলেই ফেলেছেন ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের বাটন টিপতে না পারলে টিপে দেওয়ার জন্য নিজের লোক রাখবেন। প্রকাশ্যে এমন ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী দেশে বির্তকের ঝড় তুলেছেন। তিনি আরও বলেছেন, ইভিএম না থাকলে রাতেই সব ভোট নিয়ে ফেলতেন। চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী নির্বাচনী সভায় এমন বক্তব্যে ফুটে উঠেছে এ সরকারের আমলেই দিনের ভোট রাতে হয়েছে

যা এতোদিন হরহামেশাই সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের লোকেরা অস্বীকার করে আসছে। আবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা থাকলেও ভোটকেন্দ্রের (ইভিএমের) বাটন টিপতে না পারলে টিপে দেওয়ার জন্য নিজের লোক রাখবেন বলে প্রচারেই আসল সত্য প্রকাশ পেয়ে গেছে। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের বাটন টিপতে না পারলে টিপে দেওয়ার জন্য সরকার দলের লোক থাকলে সে নির্বাচন কি করে নিরপেক্ষ হবে? 

সব মিলিয়ে এসব কর্মকান্ড কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে সরকার লেজে গোবরে করে ফেলেছে বলেই পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন।এধরনের ঘটনা নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)’র জন্য বিব্রতবরও বটে। কেননা মাত্র কয়েক দিন আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন বিভিন্ন বক্তব্যে এই ইভিএমের স্বচ্ছতার ব্যাপারে। কিন্তু ভোটকেন্দ্রের (ইভিএমের) বাটন টিপতে না পারলে টিপে দেওয়ার জন্য নিজের লোক রাখবেন বলে ঐ আওয়ামী লীগ নেতার বক্তব্যে পুরো পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে চলে গেছে। 

প্রশ্ন হচ্ছে একের পর এক এমন পরিস্থিতি হলে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আয়োজন করে কি সরকার পারবে দেশে বিদেশে তাদের গুড ইমেজ রক্ষা করতে পারবে? কেননা দেশের গণতন্ত্র, সুষ্ঠু নির্বাচন, আইনের শাসন, বাক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা, সন্ত্রাসবাদ দমন, মানবপাচার ও মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে সমালোচনার মুখে আছে। আর এধরনের পরিস্থিতিতে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন দেশে-বিদেশে গুরত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। 

অন্যদিকে এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির অংশ না নেয়াটা আসলে সরবারের জন্য শুধুই বিব্রকরই না একরণের ব্যর্থতা বলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন। এমন ঘটনায় সরকারের নেতাকর্মীরা যতই উচ্চ স্বরেই কথা বলুক না কেনো তারা যে অস্বস্তিতে আছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না বলেই বিশ্লেষকরা মনে করেন।


শেয়ার করুন