১৫ অক্টোবর ২০১২, মঙ্গলবার, ০৯:৫০:৫৭ অপরাহ্ন


টি২০ ও টেষ্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষনা সাকিবের
নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৯-২০২৪
টি২০ ও টেষ্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষনা সাকিবের


আবারও শিরোনামে সাকিব। এবার ভক্তদের কাদিয়ে জানান দিলেন আর খেলবেন না টেষ্ট ও টি-২০ ম্যাচ। সাকিবের পারফরমেন্স নিয়ে যতটা না আলোচনা, তার চেয়ে বেশী আলোচনা তার রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি ছিলেন তিনি। অনেকের কাছেই এটা ছিল দৃষ্টিকটু। এরপর  বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলোন ও আওয়ামী লীগের ক্ষমতা হারানোর সঙ্গেও সাকিবের সংযুক্তি। হত্যা মামলা হয় তার নামে। এরপর শেয়ার কেলেঙ্কারী।

এই সব আলোচনার মধ্যেই ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের আগে হুট করে সংবাদ সম্মেলনে এসে অবসরের ঘোষণা দিলেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। তবে তিন ফরম্যাটে নয়, আপাতত ওয়ানডে চালিয়ে যাবেন তিনি। কেবল টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকেই নিজেকে সরিয়ে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের সেরা এই ক্রিকেটার।

বৃহস্পতিবার কানপুর টেস্টের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান গণমাধ্যমকে নিজেই অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানান।  


সাকিব বলেছেন, ‘আমার মনে হয় টি-২০ তে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছি। মিরপুর টেস্টে (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) খেলতে পারলে সেটি হবে আমার শেষ টেস্ট।'

সাকিব সর্বশেষ টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে। ওটাই হয়ে থাকছে সাকিবের শেষ ম্যাচ। ফলে টি-২০ সাকিবকে আর দেখার সম্ভবনা নেই। তবে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় বলার আগে আরও তিনটি টেস্ট খেলার সুযোগ পাচ্ছেন। শুক্রবার কানপুরে শুরু হতে যাওয়া ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট ছাড়াও ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আরও দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। ওই দুটি ম্যাচ খেলেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।

গত টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছিলেন সাকিব।  তখন অবসর ভাবনা নিয়ে জানতে চাওয়া হলে বলেছিলেন, ‘শেষ (টি-২০ বিশ্বকাপ)কি না, জানি না। পৃথিবীতে যে কোনও সময় যে কোনও কিছু হওয়া সম্ভব। এটা তো সিদ্ধান্ত নেবে আসলে ক্রিকেট বোর্ড। আমার নিজেরও ব্যক্তিগত কিছু সিদ্ধান্ত থাকতে পারে। তবে এগুলো আসলে এখানে আলোচনা করার বিষয় নয়। এগুলো সময়ের সঙ্গে হয়তো আলোচনা হতে পারে।’


২০০৭ টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় সাকিবের। এই পর্যন্ত ৭০ টেস্ট ৩৮.৩৩  গড়ে করেছেন ৪ হাজার ৬০০ রান। করেছেন ৫ সেঞ্চুরি ও ৩১টি হাফ সেঞ্চুরি।  এছাড়া ৩১.৮৫ গড়ে ২৪২ উইকেট নিয়েছেন।  অন্যদিকে ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া সাকিবের ১২৯ ম্যাচে ২ হাজার ৫৫১ রান ছাড়াও বল হাতে নিয়েছেন ১৪৯ উইকেট।

শেয়ার করুন