২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৮:৪৪:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


খালেদা জিয়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৯-২০২৩
খালেদা জিয়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া


রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। সর্বশেষ তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট করানো হয়েছে। কিন্তু সেগুলোর রেজাল্টে পজিটিভ কিছু পাওয়া যায়নি। এতে করে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে কন্টিনিউ করে যাচ্ছেন তার চিকিৎসকরা। 

গত ৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্যের অধিকতর পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে থেকেই তিনি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ বিষয়গুলো জানিয়েছেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়ার মতো তার শারীরিক পরিস্থিতি এখনো হয়নি। তাকে আরো কত দিন হাসপাতালে থাকতে হবে, সে ব্যাপারে মেডিকেল বোর্ড এ মুহূর্তে সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে তার চিকিৎসা দিচ্ছেন বলে জাহিদ হোসেন জানান। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে আরো নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন বলে চিকিৎসকেরা মনে করছেন। সে কারণে তাকে আরো কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। এর আগেও গত ১৩ জুন রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সে সময় পাঁচ দিন পর তিনি বাসায় ফেরেন।

সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদ্রোগে ভুগছেন। তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। সে থেকেই তাকে বাইরে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার আবেদন করে আসছে পরিবারের পক্ষ থেকে। কিন্তু এ ব্যাপারে আইনের বাধ্যবাধকতা দেখিয়ে অনুমতি দিচ্ছে না সরকার। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খালেদা জিয়ার যে রোগগুলোর প্রতিটিই সিরিয়াস। ফলে এগুলোর একসঙ্গে বা সম্মিলিতভাবে চিকিৎসার সুবিধা বাংলাদেশে বিদ্যমান নেই। এজন্যই বিদেশের উন্নত হসপিটালে নিয়ে তার চিকিৎসা প্রয়োজন। এ আবেদন বারবার করা হলেও প্রতিবারই তা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। 

এদিকে গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার অ্যানজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। এরই মধ্যে ২০২১ সালের এপ্রিলে তিনি কোভিডেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। 

সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। পরে হাইকোর্টে এ সাজা বেড়ে ১০ বছর হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আরো সাত বছরের সাজা হয়।

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের মহাদুর্যোগে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দ- ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। সে থেকে তিনি গুলশানের ভাড়া বাড়িতে অবস্থান করছেন। সেখান থেকেই তিনি বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাওয়া আসা করেন।

উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া অনেকটাই গৃহবন্দির মতো রয়েছেন। কারাগারে থাকার কথা থাকলেও বিশেষ বিবেচনায় তিনি যেহেতু নিজ ভাড়া বাসায় থাকছেন, তাই সরকার প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে আসছে।

শেয়ার করুন