২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০২:৩৮:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


বাংলাদেশের জ্বালানি সংকট ঘনীভূত হচ্ছে
খন্দকার সালেক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-১১-২০২৩
বাংলাদেশের জ্বালানি সংকট ঘনীভূত হচ্ছে


শুষ্ক মৌসুম এবং নিবিড় জলসেচের সময় বর্তমান জ্বালানি সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনিতেই ভূ-রাজনীতির কারণে অস্থির বিশ্ব জ্বালানি বাজার থেকে প্রাথমিক জ্বালানি ক্রয়ে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। তার ওপর মহেশখালী উপকূলে ভাসমান দুটি এলএনজি টার্মিনালের একটি যাচ্ছে রক্ষণাবেক্ষণে। সারা দেশের গ্যাস বিতরণ এলাকায় দেখা দিয়েছে গ্যাস সংকট। গৃহস্থালি ব্যবহারে  বা বিদ্যুৎ উৎপাদনে  বিকল্প আছে কিন্তু উৎপাদন মাত্রা বজায় রাখতে সংকটে পড়েছে শিল্পকারখানাগুলো। সিএনজি খাতেও চরম সংকট। রাজধানীতে সিএনজি বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলো কঠোর সমস্যায়। চাপ কম। যানবাহনে তারা পারছেন না সরবরাহ করতে। পাম্পের সম্মুখে দীর্ঘক্ষণ লেগে থাকে দীর্ঘলাইন। এরপরও মেলে না সিএনজি। 

ওদিকে আবার জ্বালানি খাত থেকে সাবসিডি তুলে নেওয়ার বিষয়ে চাপ প্রদান অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশকে ঋণ সহায়তা প্রদানকারী আইএমএফ। সামনে নির্বাচন। বর্তমান সরকার বোধগম্য কারণেই জ্বালানি মূল্য বাজারনির্ভর করবে না। ভবিষ্যতে যে সরকার ক্ষমতায় আসুক, জ্বালানি নিরাপত্তা বিষয়টি থাকবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। নিজস্ব জ্বালানি গ্যাস, কয়লার অবদান বাড়ানো, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার ঘটানো হতে হবে প্রাধিকার।  

এমনিতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার তেলসম্পদ বিক্রির ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা জোটের স্যাংশনের কারণে বিশ্ব জ্বালানি বাজার ছিল অস্থির। ওপেক এবং রাশিয়ার উৎপাদন সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত আগুন ঘি ঢেলে দিয়েছিল। ইরান এবং ভেনেজুয়েলার তেল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কথা ভাবছিলো যুক্তরাষ্ট্র। ঠিক সেই সময় হামাস-ইসরাইল সংঘর্ষ দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছে। দ্রুত সংঘর্ষ বন্ধ হলেও প্রতিক্রিয়া থাকবে উত্তর গোলার্ধের শীত মৌসুম জুড়ে। 

অপরিশোধিত তেল এবং এর ভিত্তিতে নিরূপিত অন্যান্য প্রাথমিক জ্বালানি এলএনজি, কয়লা, এলপিজি বাজারে অস্থিরতা থাকবে। অপরিণামদর্শী পরিকল্পনার কারণে ক্রমাগত আমদানিকৃত জ্বালানিনির্ভর বাংলাদেশের জন্য ২০২৪-২০২৫  সৃষ্টি করবে কঠিন অনিরাপদ জ্বালানি পরিস্থিতি। সাশ্রয়ী ব্যবহার, সিস্টেম লস, চুরি নির্মূল করা, ব্যবহার দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি দেশীয় জ্বালানি অনুসন্ধানে কিছু সাহসী উদ্যোগ নেওয়া বাঞ্ছনীয়। প্রণোদনা দিয়ে বাড়াতে হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অবদান। একই সঙ্গে জ্বালানি, বিদ্যুৎ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোতে দক্ষ, মেধাবী কারিগরি কর্মকর্তাদের অবদান রাখার যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সরবরাহ ব্যবস্থা আধুনিকায়নে ক্রমাগত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। যদিও এগুলো বাস্তবায়নে দেশে বিরাজমান বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে দারুণ সংকট। তবু এ বিষয়গুলো রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী অঙ্গীকারে থাকার প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের এবং নির্বাচনে বিজয়ী দল অনুসরণ এগুলোই প্রাথমিক তালিকায় রেখে এগোতে হবে অনায়াসেই।

শেয়ার করুন