২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৯:০৯:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


পুলিশ অফিসার হিসেবে যোগ দেওয়া হলো না রিয়াদুল হকের
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-১১-২০২৩
পুলিশ অফিসার হিসেবে যোগ দেওয়া হলো না রিয়াদুল হকের মোহাম্মদ রিয়াদুল হক


নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে যোগ দেওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ রিয়াদুল হকের। কিন্তু নিয়তির কী নির্মম পরিহাস নিউইয়র্কের পুলিশ ডিপার্টমেন্টে যোগ দেওয়ার আগেই গত ৪ নভেম্বর দিবাগত রাতে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন (ইন্না লিল্লাহে...রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো মাত্র ২৩ বছর। মৃত্যুকালে তিনি বাবা-মা এবং ১ বোনসহ আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন। জানা গেছে, রিয়াদুল হকের জন্ম এখানেই। বাবা-মায়ের সঙ্গে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা রিজ্যুড ব্রুকলিনে থাকতেন।

জানা গেছে, এ বছরই রিয়াদুল হক গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছিলেন। আগামী ডিসেম্বরে তার নিউইয়র্ক পুলিশে যোগদানের কথা ছিল। ডিসেম্বরে তার ট্রেনিং নেওয়ার কথা ছিল। এই ফাঁকে পরিবারকে সাহায্য করার জন্য সে সিভিএস স্টোরে কাজ করতেন এবং রাতের বেলায় মোটরবাইক নিয়ে ফুড ডেলিভারি দিতেন। ওইদিন রাতেও তিনি ফুড ডেলিভারি দিচ্ছিলেন। রাত প্রায় আড়াইটার সময় তিনি বেলপার্ক ওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন। কে বা কারা পুলিশ কল করলে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং ডাক্তার পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মোহাম্মদ রিয়াদুল হকের আকস্মিক মৃত্যুতে পুরো বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম। সে তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। নিউইয়র্ক সিটি মোটরসাইকেল এবং বাইকে ফুড ডেলিভারির কাজটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই পর্যন্ত নতুন প্রজন্মে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি এভাবে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু তারপরও কমিউনিটিতে যেন সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না। খালি হচ্ছে মায়ের বুক।

মোহাম্মদ রিয়াদুল হকের নামাজে জানাজা গত ৬ নভেম্বর বাদ এশা ওজনপার্কের আল আমান মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় কমিউনিটির সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। ৭ নভেম্বর বেলা ১১টায় তাকে লংআইল্যান্ডের ওয়াশিংটন মুসলিম গোরস্তানে দাফন করা হয়। তার এ সব বিষয়ে যাবতীয় ব্যবস্থাপনায় ছিল সন্দ্বীপ সোসাইটি।

শেয়ার করুন