২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০১:০৮:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


দুশ্চিন্তার নাম নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০১-২০২৪
দুশ্চিন্তার নাম নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি


নতুন সরকার গঠনের পর যে বিষয়টার প্রতি বার বার সর্তক করা হচ্ছে সেটাকেই বড় ইস্যু হিসেবে হাতে নিয়েছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন বর্জনকারী রাজনৈতিক দলসমূহ। আলোচিত ও দুশ্চিন্তার ওই বিষয়টি হলো “নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসমূহের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি।” এ দুশ্চিন্তায় ঘুম হারাম হবার উপক্রম সবার। নিত্যপণ্যসমূহের ঊর্ধ্বগতিতে আঘাত হানে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, দরিদ্র, হতদরিদ্রদের। সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভবপর হয় প্রয়োজনে আইনশৃংখলাবাহিনী ব্যবহার করে। কিন্তু এ শ্রেণীর লোকজনকে কিছুতেই হাতে রাখা যায় না। বাংলাদেশের প্রায় ১৮ কোটি মানুষের সিংহভাগ এ ঘারানার। ফলে এ সেক্টর কন্ট্রোল না করতে পারলে পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করতে পারে। 

এটা যে একটা কারসাজির মধ্যে হচ্ছে সেটা বুঝাতে ছোট্ট একটা উদহরণ যথেষ্ট- নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে গরুর মাংসের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি থেকে অস্বাভাবিক কমে যায়। যে মাংস কোথাও কোথাও ৮০০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছিল সেটা নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে ৬৫০ টাকায় নেমে আসে। নির্বাচনের পর আবারও ঊর্ধ্বমুখী গরুর মাংসের দাম। যা কোথাও কোথাও ৭০০ থেকে ৭২০-৩০ টাকাতেও বিক্রি হয় বলে খবর মিলেছে। নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ডিম বাজারে কারসাজির জন্য বড় অংকের অর্থ জরিমানা করেও বাজারের ঊর্ধ্বগতির লাগাম ধরে রাখা যাচ্ছে না। এমনটা সব ধরনের বাজারেই। সমস্যার মূলে সামনেই রমজান। প্রতি বছর এ রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ঊর্ধ্বগতি হয় বিশেষ বিশেষ পণ্যে। এবার চলমান ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে রমজান যোগ হলে বিষয়টা কোথায় যেয়ে দাঁড়াবে সেটাই শঙ্কার কারণ। 

অন্য সময় হলে এ শঙ্কাটা খুব বেশি থাকতো না। কিন্তু ডলার সঙ্কটে দেশ। প্রয়োজনীয় পণ্যসমসূহ আমদানির জন্য এলসি খোলার অনুমতি পেতে হিমশিম খেতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে অনুমতি মেলেও না। ফলে অনেক ব্যবসায়ী এ ক্ষেত্রে ধরে চলা নীতিতে। বাজারে পণ্য সঙ্কটের অর্থ হুট করে দাম বাড়িয়ে দেয়া। যা নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে পেয়াজের ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছিল। ১২০-১৩০ টাকার পেয়াজ তিনশ থেকে শুরু করে সাড়ে তিনশও হয়ে যায়। আবার সেটা ধীরে ধীরে কমে আসে সরকারের হস্তক্ষেপে। কিন্তু নতুন পিয়াজ কিন্তু ওঠা শুরু করছিল তার কিছু সময় পরই। তাহলে হুট করে বেড়ে যাবার অর্থ কী। অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না সরকারের কঠোর পদক্ষেপের পরও। নতুন পেঁয়াজ বাজারে। তবুও একশ টাকার আশপাশে পেয়াজের কেজি। যা অন্য সময় ২০ থেকে ৩০ টাকার আশপাশে থাকতে দেখা যেত। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 

পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে চারটি নিত্যপণ্যের ওপর শুল্ক হ্রাস করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পণ্যগুলো হলো- চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর। ২৯ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশসহ মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এই চার পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তবে, এ সকল পণ্যে শুল্ক কী পরিমাণ কমানো হবে, তা এনবিআর এখন ঠিক করবে। 

প্রধানমন্ত্রীর কঠোর হুঁশিয়ারি 

এর আগে ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অবৈধ মজুদদারি ও বাজার কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এসব অপকর্মের হোতাদের তাদের কাজের জন্য কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ওইদিন সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্বকালে দেওয়া সূচনা ভাষণে বলেন, “কেউ অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো পণ্য মজুত করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আমরা তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিবো এবং প্রয়োজনে তাদের কারাগারে পাঠানো হবে।” 

নির্বাচনের পরপরই (নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের) আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধি অত্যন্ত অস্বাভাবিক উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কারা কারসাজি করছে তা খুঁজে বের করা অপরিহার্য। তিনি আরো বলেন, “কেবল তাদের খুঁজে বের করলেই হবে না, তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাও নিতে হবে। আমরা ভবিষ্যতে তাই করব।” প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান যাতে কেউ খাদ্যদ্রব্য মজুদদারি ও কালোবাজারি করে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য নিয়ে খেলা খেলতে না পারে। তিনি আরও বলেন, “খাদ্যদ্রব্য নিয়ে খেলা খেলার কোন মানে নেই।”

সালমান এফ রহমান 

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, রমজানে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানি করা হবে। পাশাপাশি রোজায় পণ্যের দাম বাড়বে না বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর । রবিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বড়নগদিপুর বাজারে এক সমাবেশে যোগদানের আগে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘দেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ভালোভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশকে সব রাষ্ট্র অভিনন্দন জানিয়েছে। কিছুদিন আগে বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে অভিনন্দন জানিয়েছেন। নির্বাচনের আগে অনেক ধরনের গুজব ছড়ানো হয়েছিল এখন গুজব আর নেই। সব গুজব মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। দেশের সংবিধান অনুযায়ী একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করা হয়েছে।’ 

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘অর্থনীতি সঠিক অবস্থায় চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। বাংলাদেশ কোনও অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে না। আমাদের অর্থনৈতিক শক্তি হলো কৃষিখাত- সেটা এখনও সঠিক অবস্থায় আছে। কৃষিতে আমাদের বাম্পার ফলন হয়েছে। এটা আমাদের জন্য একটি বিরাট সম্পদ। পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল বাংলাদেশে রফতানি করবে ভারত। দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশে পণ্য রফতানি করে। রমজানে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করা হবে। ভোগপণ্যের কোনও সংকট হবে না। রমজান মাসে পণ্যের দাম বাড়বে না।’ প্রধানমন্ত্রী এই উপদেষ্টা আরও জানান, ‘ভারত বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য রফতানি করবে। সরকার টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করবে।’ 

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র 

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, খাদ্য মজুদদারদের কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। তারা না শুধরালে আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি গত ২৮ জানুয়ারি (রোববার) নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার সকল কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। মানুষের সামাজিক অবস্থা পরিবর্তন হয়েছে- উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে খাদ্যশস্যের কোন ঘাটতি নেই। সাধারণ মানুষের জন্য আমাদের সরকারিভাবে ওএমএস চালু আছে। ডিজিটাল কার্ড প্রস্তুত হয়েছে। শীঘ্রই ডিজিটাল কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস বিতরণ করা হবে। এতে এক ব্যক্তি বারবার চাল নিতে পারবে না। 

মন্ত্রী আরো বলেন, চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে হলে ব্যবসায়ীদের বেশি লাভের মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে। চালের দাম বৃদ্ধির পিছনে মিলার, পাইকারী ব্যবসায়ী, খুচরা ব্যবসায়ী ও কর্পোরেট সকলের দায় আছে। তিনি বলেন, ফুড গ্রেইন লাইসেন্স স্পটে গিয়ে দেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। অনেকে আবার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটা লাইসেন্স নিয়ে কোটি কোটি টাকার পণ্য মজুত করে ফেলে। এটা তো হতে পারে না। 

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানন্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপনন (ক্ষতিকর আইন প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩ পাস হয়েছে। বিধি প্রণয়নের কাজ চলছে। এটি কেবিনেটে অনুমোদিত হলে অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে আরো শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। 

সাধন চন্দ্র (২৫ জানুয়ারি ) 

চালের দাম বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের কোন যুক্তিই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ২৫ জানুয়ারি রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ শীর্ষক অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থির করলে কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। মিলগেটে বিক্রয় করা চালের বস্তায় তারিখ ও দাম উল্লেখ করতে হবে। সারাদেশে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। কৃষককে নায্যমূল্য দিতেই সরকার কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনে থাকে। এখন কৃষকের কাছে ধান নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক হাসকিং মিলে ঘাস গজিয়ে উঠেছে, বিদ্যুৎ এর সংযোগ নেই। অথচ এমন মিলেও অবৈধ মজুত পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরাও কঠোর অবস্থানে আছি। অবৈধ মজুতদারি যারা করে তারা যে দলের হোক, যত শক্তিশালী লোকের আত্মীয় হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। 

মাহবুব উল আলম হানিফ 

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকার এবার পিছপা হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। ২২ জানুয়ারি কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদ আয়োজিত উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় যোগদানের পূর্বে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। 

হানিফ বলেন, আমাদের দেশের মানুষের মানসিকতা হচ্ছে সুযোগ বুঝে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের জন্য ফন্দি-ফিকির করা। সারা পৃথিবীতে ধর্মীয় উৎসবে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ যেন উৎসবমুখর পরিবেশে ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করতে পারে সে জন্য সকল জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এটার উল্টো। এটা হচ্ছে আমাদের মানসিকতার সমস্যা। এই মানসিকতার কারণেই মাঝে মধ্যে দেশের দ্রব্যমূল্যের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করতে সরকার এবার পিছপা হবে না।

সবশেষ 

একটি জাতীয় নির্বাচনের পর নতুন সরকারের সামনে একটা চ্যালেঞ্জ থাকলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মত ক্ষমতায়। ফলে ওই চ্যালেঞ্জটা আর নেই। তবু হঠাৎ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজারের অস্থিরতার কারন শুধু অসাধু সিন্ডিকেটই নয়, দেশে বিরাজমান ডলার সঙ্কটও অন্যতম। তবে চাইলেও বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, কিন্তু সিন্ডিকেটে যারা তাদের বেশিরভাগই ক্ষমতাসীন সিল লাগানো। যেখানে হাত দিয়ে দেখা হয়- তারাই পরিচিত ঘনিষ্ঠজনের কেউ না কেউ। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনের। তবে সরকার এ ব্যাপারে কঠোর হওয়ায় কিছুটা লাগাম টেনে রাখা হয়তো সম্ভবপর হবে। এ জন্যই একের পর এক কথা বলছেন, হুঁশিয়ারি দেয়া হচ্ছে দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে। তাছাড়া প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের সমমনা দলসমূহও এ ব্যাপারে সাধারণ জনগণকে সহজে বুঝিয়ে নিজেদের অনুকূলে জনমত তৈরিতে ব্যস্ত হওয়াটা সরকারের জন্য টেনশনের। ইতিমধ্যে এ বিষয়গুলো নিয়ে বিরোধী দলসমূহ কর্মসূচি দিচ্ছে। সেখানে ব্যাপক সমালোচনা করা হচ্ছে। মানুষ এ বিষয়টাকে ইতিবাচক গ্রহণ করলে সরকারের জন্য সার্বিক কন্ট্রোল কষ্টকর হয়ে যেতে পারে। 

দুশ্চিন্তা যেটা ঘুরপাক খায় সেটা শ্রীলঙ্কার সেই ঘটনা। নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজারের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে চরম অবস্থা ধারণ করে সরকারকে বিপাকে পড়তে হয়েছিল। বাংলাদেশে সে অবস্থা নেই। তবু শঙ্কা। এরই পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বৈদেশিক ধার এর ডলার/ টাকার সুদ ও আসল দেয়াসহ নানা আর্থিক টানাপোড়েন বিদ্যমান। সব মিলিয়ে দুশ্চিন্তা টেনশনেই কাটছে নতুন সরকারের সূচনাকাল।

শেয়ার করুন