২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০২:৩২:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


হারুন চৌধুরী স্মৃতিচারণ
জিয়াকে চট্টগ্রামে যেতে নিষেধ করেন কমরেড তোয়াহা
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৪-২০২২
জিয়াকে চট্টগ্রামে যেতে নিষেধ  করেন কমরেড তোয়াহা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান


কমরেড মোহাম্মদ তোয়াহা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্পস্ট করে সর্তক করে দেন যে তিনি যেনো সেনা সদস্যদের মধ্যে বিবাদ মিটাতে চট্টগ্রামে না যান। তিনি বলেন, এটা তার জন্য ক্ষতিকর হবে। ঢাকাতেই ডেকে এনেই এর সমাধানের পরামর্শ দেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান শুনলেন না এই কমরেডের কথা। 

সাম্যবাদী দল (এম.এল)’র সাধারণ সম্পাদক ওগণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সাবেক সমন্বয়ক হারুন চৌধুরী সম্প্রতি সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকার সাথে তার জীবনের বিভিন্ন ঘটনা বলতে গিয়ে কমরেড তোয়াহা সর্ম্পকে একথা বলেন। স্মৃতিচারণটি নিয়েছেন দেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি। 

মোহাম্মদ তোয়াহা যিনি বাংলাদেশে কমরেড তোয়াহা নামেই পরিচিত। তোয়াহা  ১৯২২ সালের ২ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার হাজিরহাট গ্রামে তাঁর জন্ম। পিতা হাজী মোহাম্মদ ইয়াসীন এবং মাতা হাসনা বানু। তিনি ১৯৩৯ সালে ফরাশগঞ্জ  স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং ১৯৪১ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আইএ পাশ করেন। মোহাম্মদ তোয়াহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৪ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স এবং ১৯৫০ সালে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের ভিপি নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি বাম রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। স্বাধীনতার পর তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী হলে তিনি আত্মগোপন করেন। ১৯৭৬ সালে তাঁর উপর আরোপিত গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের পর তিনি প্রকাশ্য রাজনীতিতে ফিরে আসেন। ১৯৭৯ সালে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৬

সাম্যবাদী দল (এম.এল)’র সাধারণ সম্পাদক ওগণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সাবেক সমন্বয়ক হারুন চৌধুরী 

সালের নির্বাচনেও তিনি আট দলের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কমরেড তোয়হা বাংলাদেশ-চীন ও বাংলাদেশ-উত্তর কোরিয়া মৈত্রী সমিতির সভাপতি ছিলেন। রাজনীতি ও সমাজনীতি সম্পর্কে তাঁর রচিত কিছু সংখ্যক প্রবন্ধ পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তিনি নয় খন্ডে আত্মজীবনী লিখেছিলেন যা অসমাপ্ত রয়ে গেছে। ১৯৮৭ সালের ২৯ নভেম্বর হাজিরহাটে তাঁর মৃত্যু হয়। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন চৌধুরী কমরেড তোয়াহার অত্যন্ত বিশ্বস্ত সহকর্মীদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন। হারুন চৌধুরী কমরেড তোয়াহা সর্ম্পকে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এব্যাপারে আরো জানান, তিনি তার (কমরেড তোয়া) কাছাকাছি থেকে অনেক কথা শুনেছেন। হারুন চৌধুরী জানান, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম.এল) এর সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ তোয়াহা কে খুব কাছে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। কমরেড তোয়াহার বড় বোন তার আপন দাদী। সে সূত্রে কমরেড তোয়াহা তাদের বাড়িতে নিয়মিত যাওয়া-আসা করতেন। হারুন চৌধুরী জানান, তার জন্ম রক্ষণশীল একটি মুসলিম পরিবারে হওয়াতে আমি কমিউনিস্ট তোয়াহা কে পছন্দ করতাম না। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস আমার বড় ভাই কমরেড তৈয়ব চৌধুরী, আমার খালাত ভাই মোসলেহ উদ্দিন নিজাম, ওনারা আগে থেকেই পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির সাথে জড়িত ছিলেন। আমাদের এলাকায় কমিউনিস্ট পার্টির খুবই প্রভাব ছিল বিধায় কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় বৈঠক নোয়াখালীর দক্ষিণাঞ্চলে অনুষ্ঠিত হতো। তারই কারণে কমিউনিস্ট পার্টির বড় বড় নেতারা আমাদের বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া এবং রাত্রিযাপন করতেন। এর মধ্যে দিয়ে কমরেড সুখেন্দু দস্তিদার (বশির ভাই), কমরেড আবদুল হক, কমরেড নগেন সরকার, কমরেড শান্তি সেন, কমরেড আমদ্দর আলী সহ অনেক নেতার আসা-যাওয়া ছিল বিধায় তাদের সেবা করতে গিয়ে কখন যে মনের অজান্তে মার্কসবাদী আদর্শ গ্রহণ করেছিলাম নিজেও জানিনা।

হারুন চৌধুরী বলেন, কমরেড তোয়াহার রাজনৈতিক বিশ্লেষন ছিল মারাত্বক। যা বলতেন অক্ষরে অক্ষরে তা ঠিক হয়ে যেতো। তিনি জানান ঘটনাটি তিনি জেনেছেন কমরেড তোয়ার কাছে।  তিনি জানান প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সাথে কমরেড তোহার সঙ্গে শেষ কথা ছিল হত্যাকান্ডের আগের দিন। হারুণ চৌধুরী জানান, বঙ্গবন্ধু সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বাকশাল গঠন করার জন্যে চেষ্টা করলে তাদের পার্টি বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম.এল) তীব্র বিরোধীতা করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে পার্টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এবং ক্ষমতাসীনরা সাম্যবাদি দলের নেতাকর্মীদের উপর বর্বরোচিত নির্যাতন শুরু করে। তার ফলশ্রুতিতে ১৯৭৪ সালে কারাবরণ করেন তিনি। হারুন চৌধুরী দীর্ঘ কারাবরণের শেষে জিয়াউর রহমান সরকারের আমলে মুক্তি পান। তিনি জানান. তাদের পার্টিসহ সকল রাজনৈতিক দলগুলো প্রকাশ্য রাজনীতি করার সুযোগ লাভ করে। তখন  কমরেড মোহাম্মদ তোয়াহা অক্লান্ত পরিশ্রম ও দেন-দরবারের মাধ্যমে ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে পনেরো দিন আগে আমাদের পার্টির সমস্ত নেতা-কর্মীগণ কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে। হারুণ চৌধুরী জানান, ব্যক্তিগতভাবে প্রেসিডেন্ট জিয়ার সাথে আমার সাক্ষাৎ হয় মুক্তি পাওয়ার পর। এসময় জিয়াউর রহমান তাকে তার সাথে রাখার জন্য মোহাম্মদ তোয়াহাকে সুপারিশও করেন। কিন্তু একজন সামরিক শাসকের সাথে সমাজতন্ত্রী আর্দশে বিশ্বাসী হয়ে কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করেন বলে তার স্মৃতিচারণে জানান।

তিনি বলেন, আমি কমরেড মোহাম্মদ তোয়াহার সাথেই থেকে রাজনীতি করতে থাকি। মোহাম্মদ তোয়াহার নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করি। আসলে মোহাম্মদ তোয়াহা আমাকে তার একজন বিশ্বস্থ সহকর্মী হিসাবেই কাছে কাছে রাখতেন। কমরেড মোহাম্মদ তোয়াহা একদিন জানালেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তাকে বঙ্গভবেন ডেকেছেন একটি বিষয়ে পরামর্শ করতে। উল্লেখ্য ১৯৭৯ সালে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। সে সুবাধে তার সাথে কমরেড তোয়ার অনেক ঘনিষ্ট যোগাযোগ ছিল। ঘটনাটা ঘটে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর আগের দিন। বঙ্গভবনে গিয়ে মোহাম্মদ তোয়াহা জানতে চান তাকে বঙ্গভবনে ডেকে আনার কারণ। তখন জিয়াউর রহমান জানান’ তোয়াহা ভাই আমি চট্টগ্রাম যাচ্ছি । সেখানে সেনাদের মধ্যে বিশৃংখল অবস্থার তৈরি হয়েছে। তার উপস্থিতিতে সে বিষয়টির একটা সুরাহা করা হবে। কমরেড মোহাম্মদ তোয়াহা তখন জিয়াউরকে স্পস্ট করে সর্তক করে দেন তিনি যেনো এধরণের বিবাদ মিটাতে চট্টগ্রামে না যান। তিনি বলেন, এটা তার জন্য ক্ষতিকর হবে। কমরেড মোহাম্মদ তোয়াহা জিয়াকে বলেছেন, আপনি একজন রাষ¦ট্রপতি। চট্টগ্রামে এভাবে গেলে আপনার বিপদ হতে পারে। আপনি এধরণের বিপদে পা দেবেন না। কিন্তু উনি কমরেড মোহাম্মদ তোয়াহার কথাটা হেসে উড়িয়ে দিলেন। রাখলেন না। এরপর আমরা কি দেখলাম? বি চৌধুরি সাহেব ও আরো কয়েকজন জিয়াউর রহমানের পাশের রুমে থেকে দিব্যি আরামে ঘুমিয়ে রইলেন। আর জিয়াউর রহমান নিহত হলেন। আর জিয়াউর রহমানকে যারা রক্ষা করতে আসলেন সাবেক প্রেসিযেন্ট এরশাদ সাহেব তাদেরকে ফাসি দিলেন। উল্লেখ্য বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানকে ১৯৮১ সালের ৩০শে মে চট্টগ্রামে এক সামরিক অভ্যুত্থানে তাকে হত্যা করা হয়।

হারুণ চৌধুরী তার জীবনে কমরেড তোয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যতবানী করার ব্যাপারে আরেকটি ঘটনার বর্ননা দেন। তিনি জানান,বঙ্গবন্ধু যখন বাকশাল গঠন করেন তখন আমোদের দল এতে যোগ দিতে অপরাগতা প্রাকাশ করে। এতে করে আমাদের দলকে নিষিদ্ধ করা হয়। এবং আমিসহ আমাদের দলের নেতাকর্মীদেরকে আত্মগোপনে চলে যেতে হয়। কেননা দল তখন আন্ডোর গ্রাউন্ডে। আমার মনে পরে সে সময় আমরা পার্বত চট্টগ্রামে বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় সন্তু লারমার সাথে আশ্রয় নেই। সন্তু লারমার বড়ো ভাই মানবেন্দ লারমা আমাদের পার্টির নেতা ছিলেন। তার আশ্রয়ে আমরা আশ্রিত হই সেখানে। সেখানে থেকে আমি গোপনে আমার গ্রামের শশুর বাড়িতে আসি লক্ষীপুরে। কিন্তু সেখানে এসেই আমি গ্রেফতার হয়ে যাই। সেটা ছিল ১৯৭৪ সাল।

১৯৭৪সাল জেলে থাকা অবস্থায় শুনেছি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী,মাও সেতুং মারা যান। জেলে বসেই শুনি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। এখানে একটা কথা মনে যা তোয়াহা ভাই পরে আমাকে জানান। তা-হলো বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করে কমরেড তোয়াহা ভাইয়ের সাথে পরামর্শ করতে তাকে বঙ্গভবনে নিয়ে আসেন। বান্দরবন থেকে হেলিকপ্টার যোগে কমরেড তোয়াহাকে সরাসরি বঙ্গভবনে নিয়ে কথা বলেন, বঙ্গবন্ধু। যা আমি কমরেড তোহার কাছে পরবর্তীতে শুনেছি। এর আগে অবশ্য তিনি পার্টিতে এ নিয়ে পরামর্শ করতেন। যাই হোক কমরেড তোহায়া বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ এ বলে ফেলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি যেভাবে সমাজতন্ত্র কায়েম করতে চান সেভাবে এখানে সমাজতন্ত্র কায়েম হয় না। সমাজতন্ত্র কায়েম উপর থেকে হয় না। তিনি সাফ জানিয়ে দেণ এভাবে সমাজতন্ত্র কায়েককে তিনি সমর্থন করেন না। তার পার্টি এটাতে অংশ নেবে না। এর পাশাপাশি তিনি বঙ্গবন্ধুকে সর্তক করেও দেন ’এই বাকশাল করাটা তোর জন্য মহাবিপদ ডেকে আসনে।”

কেননা বঙ্গবন্ধু ও কমরেড তোহায়া পরস্পরের মধ্যে বন্ধুত্বের মতো সর্ম্পক ছিল। ফলে বঙ্গবন্ধু কমরেড তোহার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন, কিন্তু তার পরামর্শ নেননি। বরং সেসময় তাকে হেলিকপ্টারে করেই আবারো বান্দরবনে নামিয়ে দেয়া হয় কমরেড তোয়াহকে। বিদায়ের আগে বঙ্গবন্ধওু কমরেড তোহাকে সর্তকও করে দেন তিনি (কমরেড তোয়াহা) যেনো আইন শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর কাছে ধরা না পরেন,সেভাবে যেনো আত্মগোপনে থাকেন । বঙ্গবন্ধু কমরেড তোয়াকে সর্তক করে দিয়ে বলেন, সে সময়ে আইন শৃংখলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর হাতে ধরা পড়লে তার (বঙ্গবন্ধু)পক্ষে কিছুই করা সম্ভব না। বঙ্গবন্ধু বললেন, তোয়াহা তুই সাবধানে থাকিস। হেরা ধরলে আমি কিছু করার পারুম না। ’

হারুণ চৌধুরী কমরেড তোয়াহ সর্ম্পকে বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে দেশে যে রাজনৈতিক বিশৃংখলা দেখা দেয় তখন তা মোকাবেলা করে দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে তিনি ( মোহাম্মদ তোয়াহা) ভাই অনেক ভুমিকা রেখেছেন। তখন ২০ দলীয় জোট হয়। আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন তখন আবদুল মালেক উকিল। রাজ্জাক ভাইরা তখন বাকশালে। আমরা তখন কমরেড তোহার ২০ দলে রইলাম। এরপরতো যাবে কি যাবে না তার মধ্যে নির্বাচন হয়েই গেলো। জিয়াউর রহমান নির্বাচিত হয়ে গেলেন। এরপর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তখন দেশে আসেন। এরপর তার নেতৃত্বে যে ১৪দল হয় তা গঠনের ব্যাপারে মোহাম্মদ তোয়াহা  গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন। এমনকি শ্রমিক কর্মচারি ঐকপরিষদও কমরেড মোহাম্মদ তোয়াহা ভাইয়ের কঠোর ভুমিকা গঠিত হয়। 

শেয়ার করুন