২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৩:৫৭:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


লু হাওয়ার পর শৈত্যপ্রবাহ
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০১-২০২৩
লু হাওয়ার পর শৈত্যপ্রবাহ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সহকারী ডোনাল্ড লু।


বাংলাদেশে আরো একটা শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে বলে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন। মৃদু সে শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে ফেব্রুয়ারিতে। মূলত ওই শৈত্যপ্রবাহের মধ্যেই এবারের শীত বিদায় নেবে বাংলাদেশ থেকে।  বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠেও আপাতত বইছে শৈত্যপ্রবাহ। যেভাবে বিএনপি একের পর এক আন্দোলনে উত্তপ্ত করে তুলেছিল রাজপথ, তাতে কিছুটা ভাটা! রাজপথে শুধু নয়, পাল্টাপাল্টি বক্তব্যেও গরম হয়ে উঠেছিল আবহ। তাও অনুপস্থিত। যেহেতু জাতীয় নির্বাচন এ বছরের শেষ নাগাদ বা আগামী বছরের সূচনায়। তাই এ রাজনৈতিক শৈত্যপ্রবাহ খুব বেশিক্ষণ থাকবে না বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এ উত্তাপ আবার বাড়বে। ছড়িয়ে পরবে সর্বত্র। জাতীয় নির্বাচন বলে কথা।

স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসতে পারে এ মুহূর্তে এমন রাজনৈতিক শৈথল্যতা কেন? এর কোনো যথাযথ উত্তর নেই। অনেকে এর বিশ্লেষণ বিভিন্নভাবে করছেন। এটা ঠিক, রাজনীতির মাঠ এখন ঠান্ডা এটা বাস্তব। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সহকারী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করে যাওয়ার পর থেকে, পরিস্থিতি ভিন্ন। লু সফর করে ঢাকা ত্যাগের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, বিএনপি নালিশ করেছে। কিন্তু সেটাতে কোনো কাজ হয়নি। আবার বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ডোনাল্ড লু’র সফর ও বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগ মিথ্যাচার করেছে। পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটা বিবৃতি দেয়া হয়। সেখানে ডোনাল্ড লু র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার কোনো দিনক্ষণ জানাননি সেটা উল্লেখ করা হয়। ব্যাস, মোটামুটি ওই পর্যন্তই। 

এরপর রাজনীতির মাঠের দুই পরাশক্তি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধীদল বিএনপি অনেকটাই নীরব। কথা হচ্ছে না, তা নয়-হচ্ছে  গতানুগতিক। 

লু’র বাংলাদেশ সফরের ফলে যে রাজনৈতিক শৈত্যপ্রবাহটা বেড়েছে তা ইতিমধ্যেই স্পস্ট। লু আসার আগে বাংলাদেশে চারদিনের সফর করে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সিনিয়র ডিরেক্টর ফর সাউথ এশিয়া রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলিন লাউবাচার। তিনিও নিঃসন্দেহে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কথা বলেছেন। চমকের বিষয় ডোনাল্ড লু আসার আগে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রাবিরতি করে গেছেন চায়না পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জানানো হয় তিনি আফ্রিকা অঞ্চলে যেতে ঢাকায় যাত্রাবিরতি করেন এবং ওই বিমানবন্দরেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এর আগে ঢাকায় শাহীনবাগের ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের বিবৃতি পাল্টা বিবৃতি। যুক্তরাষ্ট্রের স্যাঙ্কশন পাওয়া জাহাজ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য মালামাল সামগ্রী নিয়ে এসে ভিড়তে না পারা এবং সেটা ভারতে ফিরে যাওয়া সেখান থেকেও পণ্য খালাস না করে ফিরে যাওয়ার বিষয় নিয়ে ভেতরে ভেতরে অনেক কিছু।  

প্রশ্ন উঠতে পারে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এর প্রভাব কী? আসলে এর কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ নেই। আবার বিশ্লেষণ করলে হয়তো আছেও। এটা নিশ্চিত মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু তো আর অন্য আর পাঁচটা মার্কিন প্রতিনিধির মতো নন। যার বিরুদ্ধে ইমরান খানের দলের অনেক অভিযোগ ক্ষমতা হারানোর পেছনে। ফলে এ অঞ্চলে তার একটা প্রভাব এমনিতেই রয়েছে। ফলে ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে তার ওই বাংলাদেশ সফরে ভেতরে কী হয়েছে, সেটা জানা না গেলেও  বাংলাদেশে লু হাওয় বয়ে যাওয়ার পর রাজনৈতিক শৈথল্যতা আসা। হঠাৎ করেই কিছুটা রহস্যের জন্ম দিয়েছে বলে মনে হয়। অবশ্য লু’র সফরে এসে বলে গেছেন, বাংলাদেশে আরো স্যাঙ্কশনের প্ল্যান ছিল। কিন্তু সেটা আপাতত হচ্ছে না, কারণ বাংলাদেশ কিছু কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি করেছে। সব মিলিয়ে দীর্ঘদিন বিএনপি বা সমমনাদের দাবির সুরে কথা বলে যাওয়া পশ্চিমা দেশসমূহের আবার সরকারের পক্ষে বা অনুকূলে কিছু কথা বলাটা নিয়ে কারো মনে রহস্যের জন্ম নিয়েছে। মার্কিনিরা বরাবরই নিজেদের স্বার্থটা সবার আগে দেখে আসছে। এবারো তেমন কিছু আছে কি? থাকলে সেটা কী- এটা ভাবতেই অনেকের সময় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলসমূহের সুর নরম হওয়া কারণ হতে পারে এটাও। 

কোন কর্মসূচিতে এগোচ্ছে বিএনপি? 

এদিকে আপাতত বিএনপির ও  তাদের সমমনাদের বড় কোনো কর্মসূচি নেই। যুগপৎ যে আন্দোলনের রূপরেখা তারা দিয়েছে। সেগুলোই ঢিমেতালে মাঠ ও কর্মীদের ধরে রাখার জন্য চালিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ২৫ মার্চ ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও জেলাপর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ রয়েছে। তবে সরকারকে বড় কোনো দাবি আদায়ে যে কর্মসূচি ও মাঠ উত্তপ্ত করে আন্দোলন, তেমন কোনো কিছু এ মুহূর্তে নেই। বিএনপি বলেছে, এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে তারা যাবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের (তত্ত্বাবধায়ক) অধীনে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। আওয়ামী লীগ বরাবরই বলে আসছে, তত্ত্বাবধায়ক প্রথা উঠে গেছে। ও প্রথা আর ফিরবে না। এ বিষয়টা নিয়ে দুই মেরুতে দুই দলের অবস্থান। এটাই শেষ পর্যন্ত বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে যত নির্বাচনের ক্ষণ ঘনিয়ে আসবে। 

তাহলে কী করছে এখন বিএনপি  

করোনা পরবর্তি ২০২২ জুলাই থেকে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন কর্মসূচি দেয় ও পালন করে। বিশেষ করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জেলা পর্যায়ের আন্দোলন শুরু করে দলটি। সেটা দিয়ে শুরু। কিন্তু সেখানে বাধাপ্রাপ্ত হতে থাকে। তৃণমূলে ওই সকল কর্মসূচি পালন করতে যেয়ে পুলিশের গুলিতে ক’জন নেতাকর্মী নিহতের ঘটনা ঘটলেও বিএনপি হরতাল, ধর্মঘট বা বড় কোনো কর্মসূচিতে যায়নি। কিন্তু বিএনপির এমন তৃণমূলের কর্মসূচি সাধারণ মানুষও গ্রহণ করে। তাদের আন্দোলনে গতিবেগ বৃদ্ধি পায়। বিএনপি দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচিতে ঢাকা মহানগরে বেশক’টি সমাবেশ ও মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি করতে যেয়ে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। রক্তও ঝরে। শেষ অবধি গত ১২ অক্টোবর থেকে চাল, ডাল, জ্বালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও বিভিন্ন জেলায় নেতাকর্মীকে হত্যার প্রতিবাদ, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে দেশের সব বিভাগীয় পর্যায়ে গণসমাবেশ শুরু করে। যার সূচনা চট্টগ্রাম থেকে হয়। প্রথম সমাবেশে লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতি বিএনপিকে চমকে দেয়। শুধু বিএনপি কেন, দেশের রাজনীতিতেই একটা উত্তপ্ত আবহ সৃষ্টি হয়। 

সে থেকে প্রতিটা বিভাগেই মানুষের ঢল। সরকার দলের লোকজনও বাধা দেয় কৌশলে। কিন্তু সকল বাধা উপেক্ষিত হয়। মানুষ দুদিন আগ থেকে সমাবেশস্থলে এসে পড়ে এবং খোলা আকাশের নিচে রাত কাটায়। এর সঙ্গে হামলা-মামলা, পরিবহন ধর্মঘট, পথে পথে বাধাবিপত্তি পেরিয়ে এসব সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে সক্ষম হয় বিএনপি। যাতে বিএনপির প্রচুর গ্রহণযোগ্যতা, জনপ্রিয়তার প্রকাশ ঘটেছে।

 ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ওই দ্বিতীয় ধাপ। কিন্তু ওই ঢাকা সমাবেশ ঘিরেই ঘটে বিপত্তি। সরকার এটা যাতে সফল না হয় সে জন্য নানা চেষ্টা চালায়, যা নিয়ে ভিনদেশিদের কাছেও সরকারকে বিভিন্ন সময় প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। কারণ বিএনপি চেয়েছিল তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সম্মুখে। প্রশাসন বলেছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে। এ নিয়ে টানাপড়েন। শেষ পর্যন্ত অনেক নাটকীয়তার পর গোলাপবাগে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। তবে ওই সমাবেশ ঘিরে বিএনপি ও সরকার দু’দলই চাপে পড়েছে। ওই সমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ দলের কেন্দ্রীয় বহু নেতাকে পুলিশ আটক করে জেলে ঢুকিয়েছেন। সেটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নয়ন সহযোগীরা বারবার বিরোধীদলের রাজনীতি করার অধিকার দিতে ও মত প্রকাশে স্বাধীনতা দিতে সরকারের প্রতি যে অনুরোধ করেছে এবং বিএনপি যে অভিযোগ দিয়ে আসছে যে, সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিচ্ছে না সে কথার প্রমাণ মিলেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সরকারের ভাবমূর্তি। অপরদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, মির্জা ফখরুল, রিজভীসহ একঝাঁক নেতাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানোতে দলে কিছুটা ঝিম ধরলেও এটা সার্বিকভাবে গেইনার বিএনপিই। বিএনপি মূলত ওইসময় থেকেই কিছুটা ঢিমেতালে চলে আসছে। তবে বিএনপি কখনো জ্বালাও-পোড়াও বা ধ্বংসাত্মক কোনো কর্মসূচি দেবে না এটা ক্লিয়ার করেছে, যা করবে সব শান্তিপূর্ণ। 

বিএনপির পরবর্তী কর্মসূচি কী হতে পারে 

বিএনপির মূল দাবি তো সরকারের পদত্যাগ ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। এগুলোর সঙ্গে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে ঐক্য বজায় রাখা ও সামনে দিকে এগিয়ে নেয়াই মূল উদ্দেশ্য। তবে যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপি ও সমমনাদের নিয়ে তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির মতো জনসম্পৃক্ত ইস্যুতে আরো কর্মসূচি দেবে বলে জানা গেছে। একইসঙ্গে এসব কর্মসূচি অবশ্যই হবে শান্তিপূর্ণ, যে নির্দেশনাও তারা দিয়ে রেখেছে নেতাকর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের। এটাই চালাবে তারা অব্যাহত, যত নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসবে, ততই বাড়বে এর তীব্রতা। পাশাপাশি যোগ হতে পারে ঢাকা অভিমুখী লংমার্চ ও রোডমার্চ, গণঅবস্থান, ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচিও। তবে আপাতত কোনো চিন্তা নেই হরতাল-ধর্মঘটে। 

তবে বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির প্ল্যান নিয়েছে। মানুষকে বিভিন্ন কর্মসূচিতে মুখে বলার পাশাপাশি লিফলেট বিতরণ করে সোচ্চার করার যে প্ল্যান নিয়েছে সেটাও অব্যাহত রাখবে বলে দলের একটি সূত্র জানিয়েছে। একইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সোচ্চার হওয়া ও দেশের বিভিন্নস্থানে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রচারণা বাড়ানোসহ কাজগুলোও তারা চালাবে। 

সর্বোপরি, পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কোনো ধরনের ঝামেলা তৈরি হোক এমন কাজ তারা করবে না। কারণ বিএনপি এটাও জানে দেশের রাজনীতি ও পুলিশের কর্মকা-সহ অনেক কিছুই এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলো কঠোর মনিটরিং করছে এবং এ ব্যাপারে তাদেরও একটা মতামত বিভিন্ন সময়ে তারা সরকারকে দিয়ে আসছে। ফলে এগুলো বিএনপি ও তার সমমনাদের পক্ষেই যাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  তাদের মিত্ররা বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনটা যাতে অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য হয় সে জন্য বারবার তাগাদা দিয়ে আসছেন। যেমনটা ডোনাল্ড লু’ও দিয়ে গেছেন। 

সব মিলিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও মানুষের পছন্দমতো যাতে তাদের প্রতিনিধি বাছাই করে নিতে পারে এ জন্য যে তৎপরতা দীর্ঘদিন ধরে চালাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন ও মার্কিনিদের মিত্ররা, সেটাও বড় একটা সহায়ক ভূমিকা রাখছে বিএনপির আন্দোলনের ক্ষেত্রে। এটাও বিএনপির নীতিনির্ধারকরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে কাউন্ট করছে।

শেয়ার করুন